রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী সপ্তাহে চারদিনের সফরে চীনে যাবেন। রাশিয়ার গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
ক্রেমলিনপন্থি ভাষ্যকার পাভেল জারুবিন বলেছেন, পুতিনের সফরকালে বৃহৎ-পরিসরে আলোচনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে কী নিয়ে আলোচনা হবে তা প্রকাশ করা হয়নি।
জরুবিনের উদ্ধৃতি দিয়ে রাশিয়ার গণমাধ্যম জানায়, “ভ্লাদিমির পুতিন চীনে চারদিনের সফরে যাবেন। রাশিয়ান এবং চীনা প্রতিনিধিদের মধ্যে বড়-পরিসরে আলোচনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।”
ইউক্রেইনের সংবাদ সংস্থা ‘আরবিসি-ইউক্রেইন’ জানায়, চীন সফরকালে পুতিন তিয়ানজিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনে অংশ নেবেন। ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টম্বরে এই সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিউ বিন এর আগে জানিয়েছিলেন, এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, ২০ টিরও বেশি দেশ থেকে সরকারি প্রতিনিধিদল এবং ১০ টি আন্তর্জাতিক সংগঠন থেকে প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি’র খবরে বলা হয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও বিদেশি নেতা এবং আন্তর্জাতিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজধানী বেইজিংয়ের সঙ্গে তিয়ানজিনকে সংযুক্তকারী হাই নদীর তীরে।
গত জুলাইয়ে দ্য টাইমস পত্রিকার খবরে বলা হয়েছিল, চীনের প্রেসিডেন্ট শি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে নিয়ে একটি ত্রীপক্ষীয় বৈঠক আয়োজন করতে চান।
সেপ্টেম্বরে চীনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের দিবস উদযাপন উপলক্ষে একটি প্যারেডে ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনাও করেছিলেন শি জিনপিং। পুতিন এরই মধ্যে সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তিনিও অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। ক্রেমলিন অবশ্য পরে এই খবর অস্বীকার করেছে। পুতিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মস্কো ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের কোনওরকম প্রস্তুতির বিষয়ে কিছু জানে না।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন সবশেষ গত মে মাসে বৈঠক করেছিলেন। সে সময় চীনের প্রেসিডেন্ট শি ৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবস উপলক্ষে মস্কো সফর করেছিলেন। এই সফর কয়েকদিন স্থায়ী হয়েছিল।
ইউটি/টিএ