ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। তবে শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বসাধারণের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রদর্শন বন্ধ করা হয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) ডাকসু নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক জরুরি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
উল্লেখ্য, কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট হল ও দপ্তরগুলোর জন্যই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা উন্মুক্ত থাকবে। এর আগে, আজ রোববার সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে বিবাদী করে রিট দায়ের করেন।
ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল, তাতে পর্দানশীন নারী শিক্ষার্থীসহ সব শিক্ষার্থীর জন্য কনসার্নের বিষয় উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সাড়া না পেয়ে শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটকারী শিক্ষার্থীরা হলেন—সাবিকুন্নাহার তামান্না, মো. জাকারিয়া, ফাতেমা, তাসনিম ঝুমা ও রেদোয়ান মন্ডল রিফাত। তাদের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।
এ প্রসঙ্গে ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে প্রার্থী ফাতেমা তাসনিম ঝুমা বলেন, আমাদের সম্ভাব্য আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. জাকারিয়া এর চমৎকার কাজ। জিতে এলে কী কী করবেন তার অপেক্ষায় আমরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেভাবে শিক্ষার্থীদের সব ইনফরমেশনের পাবলিক এক্সেস দিয়ে দিয়েছিল, সেটা শুধু নারী শিক্ষার্থীদের জন্য না বরং সব লিঙ্গ ও সব ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্যই কনসার্নের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, পর্দানশীন নারীদের ছবি নিয়ে ইতোমধ্যেই নানান ধরনের হ্যারাসমেন্টের (হয়রানি) ঘটনা ঘটেছে। এই ব্যাপারে প্রশাসনের রেসপন্স না পেয়ে আমরা সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছিলাম। তার প্রেক্ষিতেই প্রশাসন আজ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটার তালিকায় প্রকাশিত নারী শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ছবি অপসারণ চেয়ে উপাচার্য বরাবর চিঠি দেন শিক্ষার্থীরা।
ইউটি/টিএ