পটৌডী প্যালেসের ঠিক কত ভাগ পাবেন সোহা আলি খান? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রায়ই এই পটৌডী প্যালেস খবরের শিরোনামে উঠে আসে। ১২০০ কোটি টাকার এই প্রাসাদপ্রমাণ পৈতৃক বাড়ির মালিকানা পেতে ফের আবেদন করেছেন সাইফ আলি খান।
এই বাড়িকে হোটেল হিসেবে ভাড়া দিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতার প্রয়াত বাবা মনসুর আলি খান পটৌডী। এই ১২০০ কোটি টাকার বিপুল সম্পত্তির মধ্যে নাকি খুব সামান্য অংশই পাবেন সোহা। সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এই প্যালেসের মধ্যেই একটি দুই কামরার ‘অ্যাপার্টমেন্ট’ রয়েছে। এই অংশ আগে ‘জেনারেটর রুম’ হিসেবে ব্যবহৃত হত। এই টুকুই নাকি সোহার ভাগে রয়েছে।
অভিনেত্রী বলেছেন, “আগে যেটা ‘জেনারেটর রুম’ ছিল, সেটাই আমার ভাগে। সৌভাগ্যবশত, খুব কম সময়ের জন্য সেখানে একটি হোটেল ছিল, সেই হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাদের পটৌডী প্যালেসের দেখভাল করতেন। আমার বাবা-মা সেই জেনারেটর রুমে থাকতে শুরু করেছিলেন তখন। আমার কিন্তু মনে হয়, এই সম্পত্তি বেশ ভালই। এখন তো এটা আমার।”
কেন সাইফকে বেশি পরিমাণ সম্পত্তি দেওয়া হল? সেই প্রশ্ন কি ভাইকে কখনও করেছেন সোহা? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, “মাথার মুকুট বা সিংহাসন, কোনওটাই আমার জীবনে প্রাসঙ্গিক নয়। আমাকে কখনওই কিছু বলে দেওয়া হয়নি। বাড়ির ছেলে আগে দুধ খাবে, আর মেয়ে খাবার পরিবেশন করবে, এমন কোনও মানসিকতাই আমাদের কারও ছিল না কখনও। আমাকে এও কখনও বলা হয়নি যে, বাইরে যেও না, কালো হয়ে যাবে। অথবা মেয়ে হয়ে কী করা যাবে, কী করা যাবে না, এ সব কিছুই বলা হয়নি কখনও।”
সোহা আরও বলেন, “আমার বাবা খুবই সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের। ভাবনাচিন্তাও তার বরাবরই প্রগতিশীল।”
উল্লেখ্য, পটৌডী প্যালেসেরই একটি অংশ নতুন করে গড়ে তুলছেন সাইফ। পূর্বপুরুষদের অর্জিত কিছু বিষয় ও জিনিস এখানে সংরক্ষিত করা হবে। এই বাড়ির একমাত্র মালিক সাইফ।
এমআর