সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ বলেছেন, ’২৪-এর গণহত্যার যদি বিচার হয় ’৭১-এর গণহত্যার বিচার কেন হবে না। তিনি বলেন, ‘প্রাদেশিক সরকারের চারজন মন্ত্রী ছিল জামায়াত। প্রাদেশিক জামায়াতের সিদ্ধান্ত নিয়ে ’৭১ সালে বলেছে পাকিস্তান সোলজারকে সাহায্য করবে। অনেকেই বলে জামায়াতকে দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে বেহেশত পাওয়া যাবে।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন, জামায়াতকে কোরআনের আইন বদলানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ দিছে। কত শেরেকি কথাবার্তা। এই জন্য আমি বলি জামায়াতের সবগুলো দোজখে যাবে। কারণ আল্লাহকে তারা চ্যালেঞ্জ করেছে মুসলমান হিসেবে।’
সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টক শোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
এম এ আজিজ বলেন, ‘আল্লাহ বেহেশত দোজখ সৃষ্টি করেছে। আল্লাহ বেহেশত-দোজখ রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
আল্লাহ বান্দার বিচার করবেন। বিচার করে অপরাধীকে দোজখে পাঠাবেন, আর যিনি অপরাধ করেন নাই, সহিহ কাজ করেছেন তাকে বেহেশতে পাঠাবেন। জামায়াত কে? জামায়াতকে কী আল্লাহ দায়িত্ব দিয়েছেন? আল্লাহর ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এই কথা যে বলছে তার জন্য অ্যাডভান্স দোজখ স্যাংশন হয়ে গেল।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ এক অদ্বিতীয় মুসলমান হলে এটা বিশ্বাস করতে হবে।
বেহেশত দোজখ আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তিনি রক্ষণাবেক্ষণ করেন, তিনি বিচার করবেন, তিনি বেহেশত দোজখ বরাদ্দ করবেন— প্রশ্ন হচ্ছে দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে আমার বেহেশত হবে এটা কোন মুনাফেকি? দাড়িপাল্লায় ভোট দিলেই আমার বেহেশত হয়ে যাচ্ছে তাহলে আল্লাহর বিচার লাগছে না। আবার কোরআনে যে আইন আছে সেটা জামায়াতের একমাত্র বদলানোর অধিকার আছে। কত বড় শিরিক?’
তিনি আরো বলেন, ‘কোরআন এমন একটা গ্রন্থ যার একটা কমা বদলাইতে পারে নাই কেউ। বহু বিধর্মীরা চেষ্টা করেছে এই গ্রন্থ সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করা। একটা লাইন পরিবর্তন করতে পারে নাই। সেই জামায়াতকে অথরিটি দিয়ে দিল আল্লাহ যে কোরআনের আইন বদলে ফেলবে? আল্লাহর বিচার আপনি করে ফেলবেন। এটা তো হয় না।’
এফপি/ টিএ