নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে ৮০ পিস ইলিশ বিক্রি হয়েছে দুই লাখ উনিশ হাজার টাকায়। সাগরের প্রায় সবগুলো মাছের ওজন দুই কেজির বেশি বলে জানিয়েছেন আড়তদার।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে নোয়াব আলী মৎস্য আড়তে মাছগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়।
জানা গেছে, ভোলার দৌলতখাঁর মাঝি মো. সালাউদ্দিন সাগর থেকে ইলিশ এনে চেয়ারম্যান ঘাটের নোয়াব আলী মৎস্য আড়তে বিক্রি করেন। তার ধরা ৮০টি মাছ আলাদাভাবে নিলামে তোলা হলে ব্যবসায়ী কামাল ব্যাপারী ২ লাখ ১৯ হাজার টাকায় কিনে নেন।
নোয়াব আলী মৎস্য আড়তের ম্যানেজার মো. রিপন উদ্দিন এক গণমাধ্যমকে জানান, বড়ো আকারের এসব ইলিশ কিনে নেন কামাল ব্যাপারী। এসব মাছ সাগরে জেলের জালে ধরা পড়ে। প্রায় প্রতিটি মাছ দুই কেজির উপরে। এগুলোকে মূলত সেরা সাইজের মাছ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে নোয়াব আলী মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ এক গণমাধ্যমকে জানান, চেয়ারম্যান ঘাটের মাছঘাটে এ ধরনের বড় আকারের মাছ মাঝেমধ্যে আসে। তবে আগে প্রায়ই বড় ইলিশ ঘাটে আসত। এখন আগের মতো আসে না।
দাম বেশির বিষয়ে তিনি বলেন, মাছের কোয়ালিটি ভালো, আকার ও ওজনে বেশি হলে দাম বেশি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। জেলেরা কষ্ট করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরেন, যদি ভালো দাম পান তাহলে তাদের আনন্দের সীমা থাকে না। এতে জেলে, ব্যবসায়ী, শ্রমিক সবাই খুশি হয়। তবে এ ধরনের ইলিশের চাহিদা রয়েছে বলে তিনি জানান।
হাতিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান এক গণমাধ্যমকে জানান, চেয়ারম্যান ঘাটে প্রায়ই বড় বড় মাছ পাওয়া যায় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। মৎস্য সংরক্ষণে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করায় নদীতে বড়ো আকৃতির মাছের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা আশা করছি সামনে জেলেরা সাগরে বড়ো আকারের মাছ আরও বেশি বেশি পাবেন। যা জেলেদের মুখে হাসি ফোটাবে এবং বাজারেও সাড়া ফেলবে।
এসএস/এসএন