২০২৪ হিসাব বছরে লভ্যাংশ দেবে না ইসলামী ব্যাংক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


গতকাল (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে ব্যাংকটি।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ হিসাব বছরে ইসলামী ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৬৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা হয়েছিল ৩ টাকা ৯৫ পয়সা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ৩ টাকা ২৭ পয়সা বা ৮২ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের বছর শেষে যা ছিল ৪৫ টাকা ২৪ পয়সা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য কমেছে ৮৮ পয়সা। তবে এ সময়ে ব্যাংকের পরিচালন সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে ইসলামী ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নগদ পরিচালন প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫৭ টাকা ৯০ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যেখানে ব্যাংকটির কাছে শেয়ারপ্রতি নগদ পরিচালন প্রবাহ ছিল ঋণাত্মক ১০ টাকা ৬৩ পয়সা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির পরিচালন সক্ষমতা অনেকটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।

বিগত সরকারের সময়ে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাদে অন্যগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। যদিও ইসলামী ব্যাংক থেকেও অনেক লুটপাট হয়েছে বিগত বছরগুলোতে। অন্তবর্তী সরকারের সময়ে নতুন নেতৃত্বে এসে ব্যাংকটি আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

তবে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত হিসাব বছরে ব্যাংকটির শ্রেণিকৃত বিনিয়োগের বিপরীতে ৬৯ হাজার ৭৭০ কোটি টাকার প্রভিশন ঘাটতি রেখেই নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনার কারণেই ব্যাংকটি সামান্য পরিসরে হলেও মুনাফা দেখাতে পেরেছে। যদি এই বিপুল পরিমান প্রভিশন গঠন করতে হতো, তাহলে সর্বশেষ হিসাব বছরে ব্যাংকের লোকসান গুনতে হতো। আর নগদ পরিচালন প্রবাহও ঋণানত্মক হয়ে যেত।

ব্যাংকটি চলতি বছরের এজেন্ডাসমূহে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ পরে ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর। 

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভারতে অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ, বড় ক্ষতির মুখে আইপিএল Aug 27, 2025
img
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করার প্রবণতা অত্যন্ত হতাশাজনক: ছাত্রশিবির Aug 27, 2025
img
শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ বরদাশত করা যায় না : বুয়েট ভিসি Aug 27, 2025
img
প্রকৌশল শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ৩ উপদেষ্টা Aug 27, 2025
img
‘বাংলাদেশ তো আমরা তৈরি করিনি, ভাষা এক হলে কী করব’ Aug 27, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আর বেশি দিন নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Aug 27, 2025
img
প্রেমিকা শারমানের সাথে বাগদান সেরেছেন মাইকেল জ্যাকসনের ছেলে Aug 27, 2025
img
পিআর নিয়ে কয়েকটি দল মামা বাড়ির আবদার করছে : রিজভী Aug 27, 2025
img
চীনে হুয়াওয়ের এক্সিবিশন সেন্টার পরিদর্শন করেছেন এনসিপি প্রতিনিধি দল Aug 27, 2025
img
জাতিসংঘের কার্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য হুমকি: জমিয়ত সভাপতি Aug 27, 2025
img
চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১০ Aug 27, 2025
img
জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা Aug 27, 2025
img
কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে দূতাবাসের জরুরি বার্তা Aug 27, 2025
img
আইএমও নির্বাচনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন চাইলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা Aug 27, 2025
img
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে খালাস পেলেন সাংবাদিক ইলিয়াস Aug 27, 2025
img
ডিএমপির নতুন ডিবিপ্রধান হলেন শফিকুল ইসলাম Aug 27, 2025
img
ঢাবি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানোর অঙ্গীকার সাদিক কায়েমের Aug 27, 2025
img
ডাকসু ভোটের ফলাফল নিয়ে উমামার শঙ্কা Aug 27, 2025
img
খেটে খাওয়া মানুষের ওপর যেকোনো অন্যায় চাপিয়ে দেওয়া যায় : জোনায়েদ সাকি Aug 27, 2025
img
ঢাকায় প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ Aug 27, 2025