অল্প সময়েই ক্রিকেটাঙ্গনে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বোর্ডের দায়িত্বে তাকে দীর্ঘমেয়াদে দেখতে চান অনেকে। সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েসও মনে করেন, বুলবুলের বেশ কিছু উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং তিনি দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
তবে বিসিবি নির্বাচনের আলোচনায় উঠে এসেছে তামিম ইকবালের নামও। সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী হিসেবে সাবেক এই ওপেনারের অংশগ্রহণকেও ইতিবাচকভাবে দেখছেন ইমরুল। তার ভাষায়-“দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে বিসিবির চেয়ারে দরকার একজন ভালো মানুষ।”
নাজমুল হাসান পাপনের যুগের অবসানের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত হয়ে এসেছিলেন ফারুক আহমেদ। তবে নানা বিতর্কের পর শেষ পর্যন্ত বিদায় নিতে হয়েছে তাকে। সেই শূন্যতায় দায়িত্ব পেয়ে স্বল্প সময়েই আস্থার জায়গা তৈরি করেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ক্রিকেটাঙ্গনের অনেকে চান, যেকোনোভাবে বুলবুল দীর্ঘমেয়াদে বোর্ডের দায়িত্বে থাকুন।
ইমরুল কায়েস বলেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে যেমন উত্তেজনা তৈরি হয়, বিশ্ব ক্রিকেটে তেমনটা দেখা যায় না। এখানে অনেকে আসেন খ্যাতি দেখানোর জন্য। তবে সত্যিই যদি ক্রিকেটের উন্নয়ন চাই, তাহলে নির্বাচন হওয়া উচিত একজন ভালো মানুষকে। বুলবুল ভাইয়ের চিন্তাভাবনা আমাদের কাছে নতুন। তিনি বিভিন্ন দেশে ক্রিকেট উন্নয়নে কাজ করেছেন, তার অভিজ্ঞতা বিশাল। যদি দীর্ঘ সময় সুযোগ দেওয়া যায়, তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট কালচার বদলে দিতে পারবেন।”
অন্যদিকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে তামিম ইকবালের নামও আলোচনায়। সাবেক ওপেনিং পার্টনার হিসেবে ইমরুল বলেন-
“তামিমের অভিজ্ঞতা হয়তো নেই। তবে আন্তর্জাতিক ব্যাকগ্রাউন্ড, দেশের ক্রিকেট উন্নয়নের জন্য তার যে পরিকল্পনা রয়েছে, সেই দিক থেকে সে একজন ভালো প্রার্থী হতে পারে।”
তবে নির্বাচনের সময় নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। অক্টোবরের মধ্যে যদি বিসিবি নির্বাচন হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের পর রাজনৈতিক চাপ বোর্ডে প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য অনেকেই মনে করছেন, আপাতত অ্যাডহক কমিটির অধীনে বিসিবি পরিচালনাই যৌক্তিক হবে, আর বোর্ড নির্বাচন হওয়া উচিত জাতীয় নির্বাচনের পর।
এসএস/এসএন