অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট দল। এই সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। এর আগে অবশ্য অস্ট্রেলিয়া দল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে। এই দুই সিরিজের আগে বড় ধাক্কা খেল অজিরা। চোটের কারণে এই দুই সিরিজে খেলা হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
পিঠের নিচের অংশে চোট পাওয়ায় নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে সাদা বলে আসন্ন সিরিজ দুটিতে খেলতে পারবেন না কামিন্স। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) কামিন্সের ছিটকে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। চোটের কারণে অজি অধিনায়ক কোহলি ও রোহিতের বহুল প্রতীক্ষিত প্রত্যাবর্তন সিরিজে থাকতে পারছেন না।
অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শিরোপা রক্ষার প্রস্তুতিতে এটি বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়ার জন্য, কারণ কামিন্সের চোট নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। দলটি অক্টোবরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে, তারপর অস্ট্রেলিয়া সফরে তিনটি ওডিআই ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে যাবে ভারতীয় দল। এরপর বছরের শেষে ইংল্যান্ড দল বহুল প্রতীক্ষিত অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে যাবে।
সিএ'র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'কামিন্সকে ভারতের (বা নিউজিল্যান্ডের) আসন্ন সীমিত ওভারের সিরিজের জন্য বিবেচনা করা হবে না। তিনি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন এবং অ্যাশেজ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কবে থেকে বোলিং শুরু করতে পারবেন তা নির্ধারিত হবে।'
ক্যারিবিয়ান সফরে তিন টেস্টের সিরিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মোট ৯৫.১ ওভার বল করার পর ৩২ বছর বয়সী কামিন্স পিঠে ব্যথা অনুভব করেন। পরীক্ষায় তার কটিদেশীয় মেরুদণ্ডে চোট ধরা পড়ে, কে কারণে 'অ্যাশেজের আগে আরও ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন।' এটিকে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হিসেবে বিবেচনা করা না হলেও চিকিৎসকদের নিশ্চিত হতে হবে যে, তার পিঠ সাত সপ্তাহে পাঁচটি টেস্ট খেলার চাপ সহ্য করতে পারে কিনা।
কামিন্স এর আগে ইনজুরির কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং সাম্প্রতিক ক্যারিবিয়ান ও উত্তর অস্ট্রেলিয়ার সাদা বলের সিরিজ মিস করেছেন, ফলে তার লক্ষ্য গত গ্রীষ্মে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠের টেস্ট সিরিজের আগে যেভাবে ছোট্ট প্রি-সিজন ক্যাম্প করেছিলেন, সেভাবে এবারও প্রস্তুতি নেওয়া।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটি বড় উদ্বেগের বিষয়, কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কামিন্স নিজেকে দারুণভাবে ইনজুরিমুক্ত রেখেছিলেন। প্রায় চার বছর আগে অধিনায়কত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি চোটের কারণে মাত্র দুটি টেস্ট মিস করেছেন। ২০১৭ সালে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ কেবল নাথান লায়ন (৭০) খেলেছেন। অ্যাশেজেও তিনি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম নির্ভরযোগ্য বোলার, শেষ ২০ টেস্টের মধ্যে মাত্র একটিই মিস করেছেন এবং ২০১৭-১৮, ২০১৯ ও ২০২৩ সালের সিরিজে সবকটিতেই খেলেছেন।
স্কট বোল্যান্ডের উত্থানের ফলে কাগজে কলমে কামিন্সের বিকল্প আছে, যদি বাকি ফাস্ট বোলাররা সুস্থ থাকেন। স্টিভ স্মিথও নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য, তিনি এ বছর শ্রীলঙ্কায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ফাস্ট বোলারের অনুপস্থিতি হবে বড় ধাক্কা।
যদি প্রথম টেস্টে পার্থে আক্রমণভাগে থাকেন জশ হ্যাজলউড (৩৪), মিচেল স্টার্ক (৩৫), বোল্যান্ড (৩৬) ও নাথান লায়ন (যার বয়স নভেম্বরেই ৩৮ হবে), তবে তা হবে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে অন্যতম বয়স্ক বোলিং কম্বিনেশন।
এসএস/টিকে