বাজবল ঘরানার ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত ইংল্যান্ড। তাদের এই আগ্রাসী খেলা টেস্ট ফরম্যাটেও বাদ যায় না। যদিও ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে সেই মানসিকতায় কিছুটা বদল দেখা যায় বেন স্টোকসদের। এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ (মঙ্গলবার) থেকে ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে গিয়ে মাত্র ২৪.৩ ওভারেই ১৩১ রানে অলআউট হয়ে গেছে ইংলিশরা।
লিডসের হেডিংলিতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে বেশ কয়েকটি বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। কেশভ মহারাজ ও উইয়ান মুল্ডারের বোলিং তোপের সামনে ইংলিশদের পক্ষে জেমি স্মিথ সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন। এ ছাড়া ১৫ রানের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
ওয়ানডেতে একজন ব্যাটারের ফিফটি সত্ত্বেও ১৩১ রান ইংল্যান্ডের তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। এর আগে (১৯৮১) তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইয়ান বোথামের ৬০ রানের পর ১২৫ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে (১৯৮৩) ডেভিড গাওয়ারের ৫৩ রান সত্ত্বেও ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এর চেয়েও কম রানে অলআউটের নজির রয়েছে ইংলিশদের। ওভালে ১৯৯৯ সালে সর্বনিম্ন ১০৩, জোহানেসবার্গে ২০০০ সালে ১১১ এবং পূর্ব লন্ডনে ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ওয়ানডেতে তারা ১১৫ রানে গুটিয়ে যায়।
এ ছাড়া হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের আজ করা ১৩১ রান ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। এর আগে ১৯৭৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৩ রানে অলআউট হয়েছিল ইংল্যান্ড। ওয়ানডের ইতিহাসে অবশ্য তাদের আরও দ্রুততম সময়ে অলআউট হওয়ার রেকর্ড আছে। সেদিক থেকে আজকের ম্যাচটির অবস্থান পঞ্চম। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এদিন ইংলিশরা টিকতে পেরেছে মাত্র ২৪.৩ ওভার। এর আগে তাদের বিপক্ষেই আবার বাটলার-রুটরা ২০২৩ বিশ্বকাপে ২২ ওভারে গুটিয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভিন্ন দুই ম্যাচে ২৩.৩ এবং ২৪ ওভার এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে টিকতে পারে ২৪.২ ওভার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সর্বনিম্ন রান করার বিব্রতকর রেকর্ডও হয়েছে ইংল্যান্ডের। বিপরীতে দলটির বিপক্ষে প্রোটিয়া স্পিনারদের মধ্যে ওয়ানডের সবচেয়ে সেরা ফিগারটি হয়েছে কেশভ মহারাজের। মাত্র ৫.৩ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচায় তার শিকার ৪ উইকেট। এর আগে ইমরান তাহির ২০১১ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৮ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছিলেন।
এমকে/এসএন