চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ৫৬৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মডেল থানা ও নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন, ১০টি হল নির্মাণসহ মোট ১৩টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সভায় শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। পাশাপাশি আহতদের তালিকা তৈরি, মডেল থানা ও নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন, শাটল ট্রেনে নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে ১০ তলা বিশিষ্ট পাঁচটি ছাত্র ও পাঁচটি ছাত্রী হল নির্মাণের উদ্যোগ, বিদ্যমান আবাসিক হল সংস্কার এবং শিক্ষার্থীদের বসবাসরত কটেজ মালিকদের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। মেডিকেল সেন্টারকে আধুনিকায়ন করে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রূপান্তর এবং ২টি নতুন অ্যাম্বুলেন্স কেনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষের ঘটনাগুলো তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিজ উদ্যোগেও একটি কমিটি গঠন করেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন রাখার পাশাপাশি টহল জোরদার করতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়।
একই সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয়দের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে তা পূরণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান, সিন্ডিকেট সদস্য সচিব ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. হাশমত আলী।
ইউটি/টিএ