গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, জাতীয় পার্টির ওপর ভর করে কোনো দলের ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একটি পক্ষ জাতীয় পার্টিকে প্রধান বিরোধী দল করতে চায় -এ কথা শুনে প্রধান উপদেষ্টা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে রাশেদ খান এসব কথা জানান।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি নুরুল হক নুরের সহধর্মিণী ও গণঅধিকার পরিষদের তিন নেতার সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
রাশেদ খান বলেন, সরকার উন্নত চিকিৎসার জন্য গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কোন দেশ বা কখন তাকে পাঠানো হবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
তিনি জানান, নুরের ওপর বর্বর হামলার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, নূর বিগত সরকারের সময়ে একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছেন এবং এখনো এমন আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়ে রাশেদ আরও বলেন, যেহেতু নূর আহত, তাই তিনি নিজে মামলা করতে পারেননি। তবে তাদের আইনজীবীরা এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে রাশেদ খান জানান, প্রধান উপদেষ্টা আগামীতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তাদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তারা সংবিধান ও গণভোটের বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করার কথা বলেন। গণঅধিকার পরিষদ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে একটি পরিষদ গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছে। তারা ভারতীয় ষড়যন্ত্র এবং সচিবালয়ে আওয়ামী আমলাদের রেখে সুষ্ঠু ভোট হবে কিনা, সে বিষয়েও তাদের উদ্বেগের কথা জানান।
নুরুল হকের সহধর্মিণী মারিয়া আক্তার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
পিএ/টিএ