ভিসার মেয়াদ শেষ হলেই বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্যের সরকার। সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত তৎপরতাও শুরু করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের জাতীয় দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সম্প্রতি শিক্ষাজীবন শেষ করার পরও ব্রিটেনে অবস্থান করছেন -এমন ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে -যদি এই শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে বসবাসের বৈধতা না থাকে তাহলে যে কোনো সময়ে তাদেরকে জোর করে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
মন্ত্রণালয় থেকে প্রদান করা এ সংক্রান্ত এক লিখিত বার্তায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, “যদি আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে যে কোনো সময় আপনাকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে; আর যদি আপনি আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন এবং সেই আবেদনে ত্রুটি থাকে- তাহলে অবিলম্বে এবং দৃঢ়ভাবে সেই আবেদনকে বাতিল বলে বিবেচনা করা হবে। আশ্রয় প্রার্থনা সংক্রান্ত প্রতিটি আবেদন সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুযায়ী যাচাই করা হবে। আপনি যদি সেই মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে না পারেন, তাহলে কোনো প্রকার সহায়াতা পাবেন না।”
“যদি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য বৈধ অধিকার আপনার না থাকে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে। যদি আপনি স্বেচ্ছায় তা না করেন, তাহলে আমরা আপনাকে ফেরত পাঠাব।”
এদিকে যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থী নেতা এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জো গ্র্যাডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপকে ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি আঘাত’ বলে উল্লেখ করেছেন। দ্য গার্ডিয়ানকে তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “যুক্তরাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে একটি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরা এই ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পরও এই দেশে আছেন এবং ব্রিটেনের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছেন -আমার মতে তাদের স্বাগত জানানো উচিত।”
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
পিএ/টিএ