স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে গ্রেফতার হন ভারতের কর্নাটকের ডিজিপি পদাধিকারী পুলিশ কর্মকর্তা রামচন্দ্র রাওয়ের মেয়ে ও অভিনেত্রী রানিয়া রাও। চলতি বছরের মার্চে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আদালত তার কারাবাস ও জরিমানার আদেশ দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ও সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ৩ মার্চ দুবাই থেকে ভারত পৌঁছান রানিয়া। ভারতের বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তার কাছে ১৪ কেজির বেশি স্বর্ণ পাওয়া যায়। যার বৈধ কাগজপত্র চেকিংয়ে দেখাতে পারেননি অভিনেত্রী। এরপরই তিনি গ্রেফতার হন।
আদালতে এ মামলা উঠলে আইনজীবীর মাধ্যমে রানিয়া তার পক্ষে কোনো উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আদালতে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য প্রমাণ হলে গত জুলাইয়ে আদালত রানিয়াকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) কর্ণাটক হাইকোর্টে এ মামলার আপিল শুনানি শেষ হয়। সেখানে কারাবাসের সঙ্গে রানিয়াকে অর্থদণ্ডও দেয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় স্বর্ণ পাচারের দায়ে অভিনেত্রীকে প্রায় ১১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
এ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, মামলার কার্যক্রম আইন অনুযায়ী চলমান। কারাবাসের পাশাপাশি অভিনেত্রীর আর্থিক জরিমানা নির্ধারিত হয়েছে। এ জরিমানা বাজেয়াপ্ত স্বর্ণের বাজারদর ও শুল্ক ফাঁকির অঙ্ক হিসাব করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
কর্ণাটক হাইকোর্টে শুনানির পরবর্তী তারিখ আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সিনেমায় কাজ শুরু করেন রানিয়া রাও। কন্নড় সিনেমার পাশাপাশি তামিল সিনেমাতেও অভিনয় করেন। অভিনেত্রী হঠাৎ সোনা পাচারের দায়ে গ্রেফতার হলে তার বাবা রামচন্দ্র রাও জানান, মেয়ের এমন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। বিয়ের পর থেকেই রানিয়া তাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন। এরপরই বাধ্যতামূলক ছুটিতে চলে যান ডিজিপি পুলিশ রামচন্দ্র রাও।
এসএস/এসএন