বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, জুলাই-আগস্টের মহাবিপ্লবের ভিত্তি তৈরি এবং জমি চাষ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার তৈরি করা জমির ওপর দাড়িয়েই শেখ হাসিনার মতো রক্তচোষা বাদুরকে বিতারিত করেছেন এদেশের ছাত্র-জনতা। এটা কারও একার অবদান নয়, এটার মূল নায়ক ও রূপকার তারেক রহমান।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান এবং আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান হিসেবে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের জন্য ১০ হাজার মাইল দূর থেকে আন্দোলনের মূল রূপকার হিসেবে কাজ করেছেন তারেক রহমান। তার দেওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রযুক্তি ও বিএনপির মাধ্যমে ছাত্র-জনতা দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করে নতুনভাবে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ১৮ কোটি মানুষের জনগোষ্ঠীকে বন্দুকের নল দিয়ে কখনো দাবানো যায়নি। যেমন ইচ্ছে, তেমনভাবে দেশকে পরিচালনা করেছে দীর্ঘদিন অনির্বাচিত শেখ হাসিনার দল।
চক্রান্তকারীরা আজও থেমে নেই। কিন্তু এতো কিছুর পরও বিএনপি বেঁচে ও টিকিয়ে রয়েছে, কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে মানুষকে বাক স্বাধীনতা দিয়েছেন। যে কারণে দেশের জনগণ বিএনপিকে ভালোবাসে। যারা দল করে না, কিন্তু জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, তারাও সব সময় বিএনপির সঙ্গে থেকেছে।
জিয়াউর রহমান কৃষি, শিল্প উন্নয়ণের মহাপরিকল্পনা ভিত্তিক ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়ে দেশকে বাঁচিয়ে নেন। ১৬০০০ কিলোমিটার খাল খনন করে কৃষির উন্নয়ন শুরু করেন। জিয়াউর রহমান তার সততা দিয়ে দেশকে উন্নয়ন করেন। বিএনপি বাংলাদেশ পন্থী গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি দল। সময়ের প্রয়োজনে বিএনপি এখন প্রযুক্তি ভিত্তিক অর্থনীতির মহাপরিকল্পনা ৩১ দফা ঘোষণা করেছে।
বিএনপি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এখানে সবাই কথা বলবে, তাদের মতামত প্রকাশ করবে।
রিজভী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু নির্বাচন) হচ্ছে। সেখানেও একটি দল সাইবার যুদ্ধ করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানারকম অপপ্রচার চালিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সাইবার বুলিং করছে ছাত্রশিবির। মুখে বলেন ধর্মের কথা, কিন্তু কাজ করেন অন্যায়। সত্যি কথা বলে সাইবার বুলিং এর শিকার হয়েছেন ফাহমিদা। এটার জন্যই কি বুকে গুলি পেতে নিয়ে জুলাই আন্দোলন হয়েছিল, এটার জন্যই কি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ও উন্নয়ণের স্বপ্ন দেখেছি আমরা।
তিনি বলেন, নারী অধিকারের কথা উঠলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তখন নিষ্ক্রিয় থাকেন। বিভিন্ন ফোরামে তার কথা শুনে মনে হয়েছে, তিনি উদারপন্থী গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, দেশ বিরোধী ষঢ়যন্ত্র থেকে জনগণকে বাঁচাতে হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ-উন-নবী সালাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেশারফ হোসেন, বগুড়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী রুফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ, জেলা ছাত্রদল সভাপতি সন্ধান সরকার, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা বেগমসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী জেলার প্রায় সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কেএন/টিকে