যুক্তরাজ্যে রবিবার লাখ লাখ মোবাইল ফোনে একই সময়ে সাইরেন বেজে ওঠে। এটি ছিল দেশের জরুরি পরিস্থিতির প্রস্তুতি আরো শক্তিশালী করার জন্য সরকারের উদ্যোগের অংশ।
এই জাতীয় মহড়ার কারণে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে এক দিনের তৃতীয় ক্রিকেট ম্যাচ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়, আর রাগবি লিগ ম্যাচের শুরু সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়, যাতে বিঘ্ন না ঘটে। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় মোবাইল ফোন ও ট্যাবলেটে প্রায় ১০ সেকেন্ড ধরে শব্দ ও ভাইব্রেশন হয় এবং ব্যবহারকারীরা একই সঙ্গে একটি বার্তা পান-এটি শুধু একটি পরীক্ষা।
দেশের জাতীয় জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থার দ্বিতীয় পরীক্ষা এটি। প্রথমটি ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরীক্ষার আগে গত কয়েক সপ্তাহে সরকার জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক কমানোর জন্য প্রচার চালিয়েছে, যার মধ্যে রেলস্টেশনে ঘোষণা ও মহাসড়কে সাইনবোর্ড স্থাপন রয়েছে। গত দুই বছরে স্থানীয় এলাকায় বাস্তব সতর্কতা জারি করতে এই ব্যবস্থা পাঁচবার ব্যবহার করা হয়েছে।
জানুয়ারিতে স্কটল্যান্ড ও নর্দান আয়ারল্যান্ডের প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ ইওউইন ঝড়ের সময় সতর্কতা পেয়েছিল। ওই সময় জীবনহানির ঝুঁকি নির্দেশ করা লাল আবহাওয়া সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এ ছাড়া গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি ব্যাক গার্ডেনে ৫০০ কেজি ওজনের অবিস্ফোরিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা পাওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার ফোনে সতর্কতা পাঠানো হয়েছিল।
এই ব্যবস্থা ব্রিটেনের সবচেয়ে সম্ভাব্য জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহার করার জন্য তৈরি, যেখানে জীবনহানির ঝুঁকি থাকে। সতর্কতা টেলিভিশন, রেডিও ও প্রয়োজনে দরজায় কড়া নেড়েও পৌঁছে দেওয়া হতে পারে। এই ধরনের সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানেও ব্যবহার করা হয়।
রবিবারের সতর্কতা কেবল ফোরজি বা ফাইভজি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত ডিভাইসে পৌঁছেছে। সরকারের এই উদ্যোগ দেশের স্থিতিশীলতা শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে এসেছে, বিশেষ করে অতিরিক্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের উদ্বেগের মধ্যে।
জুলাই মাসে সরকার একটি ‘স্থিতিস্থাপক কর্ম পরিকল্পনা’ প্রকাশ করেছে, যেখানে করোনাভাইরাস মহামারি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ ও সাইবার হামলার মতো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উল্লেখ করা হয়েছে।
এসএস/এসএন