হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে জাতীয় পার্টি ভূমিকা রেখেছে : হারুন

রাজবাড়ীতে মাজার থেকে মৃত ব্যক্তির মরদেহ তুলে প্রকাশ্যে মব সৃষ্টি করে পুড়িয়ে ফেলা ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ। তিনি এমন জঘন্য কার্যকলাপে জড়িতদের অনতিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা ও পৌর শাখার আয়োজনে সদর উপজেলার বারোঘরিয়া দৃষ্টিনন্দন পার্কে সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।

হারুনুর রশিদ বলেন, দেশে বর্তমানে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে এরই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ীতে একটি মাজার থেকে মরদেহ তুলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে মব সৃষ্টিকারীরা। যারা এ কাজ করেছে, তারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী হতে পারে না। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।

জাতীয় পার্টিকে নিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি হাসিনার সহযোগী ছিল, এতে কোনো সন্দেহ নেই। হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে তারা ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু জাতীয় পার্টির অফিসে আগুন লাগিয়ে পোড়ানোর মধ্য দিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বাপ গণহত্যা চালিয়েছে, বেটি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। হাসিনা ১৬ বছর ক্ষমতায় থেকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। যার কারণে দুজনকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। মব সন্ত্রাস বন্ধ না করতে পারলে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিদায় নিয়ে আবারও সরকার গঠন করারও দাবি করেন তিনি।

হারুনুর রশীদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে একটি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু বাংলার আকাশে দেখছি কালো মেঘ। এনসিপি নামের যে দলটি গঠন করা হয়েছে, তাদের নিবন্ধন নেই। দলটি সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট, সরকার তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ তাদের জন্য যা যা দরকার তার সবকিছুই করছে।

এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তসিকুল ইসলাম তসি, বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল বারেক, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তবিউল ইসলাম তারিফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জামিউল হক সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সামিরুল ইসলাম পলাশ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সারোয়ার জাহান, সহ-সভাপতি মিম ফজলে আজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সাবিনা ইয়াসমিনকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান Sep 08, 2025
img
আমাদের একটু সহিষ্ণু ও রিয়ালিস্টিক হতে হবে: প্রধান বিচারপতি Sep 08, 2025
img
জয়পুরহাটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত, ৫ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক Sep 08, 2025
img
জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া এখন রাজনীতির কেন্দ্রে : জিল্লুর রহমান Sep 08, 2025
img

ডাকসু নির্বাচন

ভোট গণনার পুরো প্রক্রিয়াটি সরাসরি দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনে Sep 08, 2025
img
বাংলাদেশকে হারিয়ে সমতায় ফিরল ইংল্যান্ড Sep 08, 2025
img
জয়পুরহাটে বগি লাইনচ্যুত, উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ Sep 08, 2025
img
লোহিত সাগরের তলদেশে বিছিন্ন মাইক্রোসফটের ফাইবার অপটিক ক্যাবল Sep 08, 2025
img
রাশিয়ার অর্থনীতি ধসিয়ে দেওয়ার কড়া বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের Sep 08, 2025
img
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বড় জয় স্পেন ও জার্মানির Sep 08, 2025
img
হামাসকে শেষ বারের মতো সতর্ক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প Sep 08, 2025
img
ক্ষমা চাইছি, জানি না কখন চলে যাব : সোহেল রানা Sep 08, 2025
img

পশ্চিম তীরকে যুক্ত করার পরিকল্পনা

আমিরাতের পর ইসরাইলকে সৌদি যুবরাজের কড়া বার্তা Sep 08, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের আয়রন ডোম প্রকল্পের নেতৃত্বে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শরিফুল খান Sep 08, 2025
img
পুতিনকে ‘তার চাওয়া পূরণ’ করে দিয়েছেন ট্রাম্প: জেলেনস্কি Sep 08, 2025
img
ইউএস ওপেনে সিনারকে উড়িয়ে দিয়ে ফের চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ Sep 08, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর কামপালা, ঢাকার অবস্থান ২৯তম Sep 08, 2025
img
মেধাবীদের আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরার প্রকল্প সরকারের নেই: শিবির সভাপতি Sep 08, 2025
img
যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন শাবানা মাহমুদ Sep 08, 2025
img
সকাল ৯টার মধ্যে কোথায় কেমন বৃষ্টি, আভাস দিল আবহাওয়া অফিস Sep 08, 2025