ইসরায়েল গাজা সিটিতে ধ্বংসযজ্ঞ আরো জোরদার করেছে। নতুন করে আরেকটি বহুতল ভবন বোমা হামলায় গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। রবিবার আল-রুয়া টাওয়ারে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। এদিন ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৪৯ জনই উত্তর গাজা থেকে।খবর আল জাজিরার।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের তথ্যমতে, গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্র দখলের অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০টি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা আল-রুয়া টাওয়ারে হামলার আগে সেখানকার বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা দিয়ে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে ভবনের ভেতরে থাকা পরিবার ও আশ্রয়হীন মানুষেরা চারপাশের অস্থায়ী তাঁবু থেকে পালাতে বাধ্য হয়।
ফিলিস্তিনি এনজিও নেটওয়ার্কের প্রধান আমজাদ শাওয়া আল জাজিরাকে বলেন, অবস্থা ভয়াবহ, চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আজ শত শত পরিবার তাদের আশ্রয় হারিয়েছে। ইসরায়েল এসব বিস্ফোরণের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ দিকে ঠেলে দিতে চাইছে, কিন্তু সবাই জানে দক্ষিণে বা ঘোষিত তথাকথিত মানবিক অঞ্চলে কোনো নিরাপদ স্থান নেই।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, সেনারা সন্ত্রাসী অবকাঠামো এবং নিন্দনীয় সন্ত্রাসী বহুতল ভবন ধ্বংস করছে।
তবে আন্তর্জাতিক মহলের অভিযোগ, ইসরায়েল বারবার গাজায় বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু করছে।
আল-রুয়া ভবনটি পাঁচতলা বিশিষ্ট ছিল, যেখানে ২৪টি অ্যাপার্টমেন্ট, একাধিক ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, একটি ক্লিনিক ও একটি জিম ছিল। এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটির কেন্দ্রে অবস্থিত আল জাজিরা ক্লাবেও হামলা চালিয়েছিল, যেখানে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর তাঁবু ছিল।
এমআর/টিকে