সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ সিলেট কারাগার থেকে ভার্চুয়াল হাজিরা চেয়েছেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে শুনানি শেষে আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আসামির বয়স ৭৭ বছর। এ বিবেচনায় আসামিকে সিলেট কারাগারে রেখেই যাতে ভার্চুয়াল হাজিরা চেয়ে আবেদন করা হয়। তবে আমরা এ আবেদনের বিষয়ে আপত্তি জানাইনি। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তীতে আদেশ দেবেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর তার উপস্থিতিতে শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২১ অক্টোবর রাতে ঢাকার বনানী থেকে ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে করা একটি মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
গত বছরের ৩০ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম বাদী হয়ে ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে বলা হয়েছে, আসামি ইমরান আহমেদ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসম্পূর্ণভাবে ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৪২৭ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। পাশাপাশি তিনি ও তার প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে পরিচালিত ৫টি ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
এসএস/এসএন