যেভাবে ক্যান্সার থেকে বেঁচে ফিরেছেন সঞ্জয়

বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত পর্দায় যেমন আলোচিত, বাস্তব জীবনেও তিনি ব্যাপক আলোচনায় থেকেছেন যুগের পর যুগ। একসময় নেশায় বুদ হয়ে থাকা সঞ্জয় বহুকষ্টে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। সেইসব সংগ্রামের পাশাপাশি আরেকটি কঠোর সংগ্রাম তাকে করতে হয়েছে। সেটা নিজের শরীরের সঙ্গে।

পাঁচ বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন সঞ্জয়। যে জার্নি ছিল তার জীবনের আরেকটি কঠিন অধ্যায়।

অভিনেতার বায়োপিক ‘সঞ্জু’-তে তুলে ধরা হয়েছে তার জীবনের এই কঠিন মুহূর্ত। সাম্প্রতিক সময়ে ইউটিউবার রণবীর এলাহাবাদিয়ার সঙ্গে একটি পডকাস্টে সেই প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন সঞ্জয়।
‘খলনায়ক’-খ্যাত অভিনেতা জানিয়েছিলেন, লকডাউনের সময়ে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেই সময় থেকেই তার লড়াই শুরু।

সঞ্জয় বলেন, ‘লকডাউনের সময়টা ছিল খুবই স্বাভাবিক। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময়ে আমার শ্বাসকষ্ট হতো।

সিঁড়ি ভাঙতে পারতাম না। শরীরের ভিতর কী হচ্ছে ঠিক বুঝতে পারতাম না। তাই আমি আমার ডাক্তারকে একদিন বাধ্য হয়েই ফোন করি। তিনি এক্সরে’র পরামর্শ দেন। দেখা যায়, আমার ফুসফুসের অর্ধেকেরও বেশি অংশে পানি জমে আছে।

প্রাথমিকভাবে সকলেরই মনে হয়েছিল টিবি হয়েছে। তবে পরবর্তীকালে জানা যায় আসল বিষয়টা।’

ক্যান্সারের কথা শুনেই ভেঙে পড়েছিলেন সঞ্জয়। নিজেকে বোঝাতে কষ্ট হচ্ছিল তার। তবুও মনকে বুঝিয়েছিলেন লড়াই করতেই হবে। অভিনেতা বলেন, আমার বোন এসে বলল, ‘ক্যান্সার হয়েছে তো কী হয়েছে? সব ঠিক হয়ে যাবে।’ আমি ওর মুখে কথাটা শুনে টানা দুই তিন ঘণ্টা টানা কান্নাকাটি করেছি। কারণ, আমার খালি বাচ্চাদের মুখ মনে পড়েছে। কখনও আবার আমার জীবন, আমার স্ত্রী, সবকিছু মনে পড়ছিল। আমি বুঝেছিলাম কেমন যেন দুর্বল হয়ে যাচ্ছি। প্রথমে, সিদ্ধান্ত নিলাম আমেরিকায় চিকিৎসা হবে। কিন্তু ভিসা পাইনি, তাই এখানেই শুরু করি।’

এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন সঞ্জয়। তিনি জিমে গেছেন, ওজন কমিয়েছেন। হাজার অসুস্থতার মধ্যেও চেষ্টা করেছেন নিজেকে পুরনো ছন্দে ফিরিয়ে আনার। ২০২০ সালের অক্টোবরে সঞ্জয় ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ক্যান্সারমুক্ত। এই জার্নিকে অবশ্য জীবনের অন্যতম মনে রাখার মতো মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন এ আলোচিত অভিনেতা।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কর্মবিরতি শেষে রাজশাহী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল শুরু Sep 09, 2025
img
জামায়াত আমিরের সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ Sep 09, 2025
img
ঢাবি ঘিরে জামায়াত-শিবিরের অবস্থান, অভিযোগ ছাত্রদল সভাপতির Sep 09, 2025
img
১২ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ Sep 09, 2025
img
‘আমি ভীষণ বিরক্ত’, ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল প্রসঙ্গে দিলারা জামান Sep 09, 2025
img
মহানবীর জীবনী পাঠে অভ্যস্ত করা অপরিহার্য : শায়খ আহমাদুল্লাহ Sep 09, 2025
img
ড. কামাল হোসেন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি Sep 09, 2025
img
যে নির্বাচন আশা করেছিলাম, তা হয়নি: আবিদুল Sep 09, 2025
img
নেপালে প্রধানমন্ত্রীর পর পদত্যাগ করলেন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র Sep 09, 2025
img
বালেন্দ্র শাহ, যাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায় নেপালের জেন-জি Sep 09, 2025
img
সঞ্জয় কাপুরের সম্পত্তি নিয়ে আদালতে কারিশমার দুই সন্তান Sep 09, 2025
img
রেকর্ড গড়ার পথে নবী-রশিদরা Sep 09, 2025
img
জাকসু নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত Sep 09, 2025
img
বিক্ষোভ-অবরোধে ফরিদপুরের মহাসড়কে ৪০ কিলোমিটার যানজট Sep 09, 2025
img
আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি: লিটন দাস Sep 09, 2025
img
নেপালে গণমাধ্যমের অফিসে ভাঙচুর-আগুন Sep 09, 2025
img
সংস্কৃতি উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ Sep 09, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলের সময়সূচি জানালেন রিটার্নিং অফিসার Sep 09, 2025
img
কারাগারে সাবেক সচিব শফিকুল ইসলাম, মেলেনি জামিন Sep 09, 2025
img
ব্যাংক একীভূত হলেও গ্রাহকের আমানতে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা Sep 09, 2025