বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আল্লামা সাঈদীর পুত্র মাসুদ সাঈদী বলেছেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছি। পিছিয়ে পড়া দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই। এজন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় পিরোজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা জামায়াতে ইসলামী মিডিয়া বিভাগের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি এস.এম. রেজাউল ইসলাম শামীম এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সরোয়ার হোসেন জুয়েল।
মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘পিরোজপুর পৌরসভা ১০০ বছরেরও পুরনো। কিন্তু এখানে উন্নয়ন বলতে কিছু নেই। একক শাসনের নামে জনগণের টাকা শোষণ হয়েছে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, পয়ঃনিষ্কাশনের অভাব, সুপেয় পানির সংকটে মানুষ ভোগান্তিতে। আমি পৌরসভা উন্নয়নের জন্য ৩৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। খুব শিগগিরই বরাদ্দ আসবে বলে আশা করছি। জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ছয়টি পাওয়ার প্লান্টের বরাদ্দ এনেছি, যা দিয়ে প্রায় আড়াই হাজার পরিবারকে সুপেয় পানীয় জল সরবরাহ করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্দুরকানীতে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করেছি। তিন একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে বেকারত্ব সমস্যা লাঘব করবে। ইন্দুরকানীর ৩১ শয্যার হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেছি এবং সাড়ে সাত কোটি টাকার বরাদ্দে সংস্কার কাজ চলছে। পাশাপাশি নাজিরপুর হাসপাতাল সংস্কারে ১০ লাখ টাকা ও থানা সংস্কারে ৬ লাখ টাকার বরাদ্দ আনা হয়েছে।’
মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের সমস্যা সমাধানে সবসময় কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আরও জোরদার করতে চাই। এজন্য সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।’
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহমেদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা তাফাজ্জল হোসেন ফরিদ, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, সহকারী সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, পৌর আমির মাওলানা ইছাহাক আলীসহ জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
ইএ/টিকে