চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের খসড়া আচরণবিধিমালা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, দাখিল ও প্রত্যাহার, যানবাহন ব্যবহার, প্রচার-প্রচারণাসহ ১৭ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাকসু নির্বাচন কমিশনের অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই বিধিমালা প্রকাশ করা হয়।
খসড়া আচরণবিধি পাঠ করেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. কে. এম. আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আচরণবিধিমালায় যা রয়েছে
চাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। তবে সর্বোচ্চ পাঁচজন সমর্থক নিয়ে আসা যাবে। নির্বাচনে প্রার্থীর ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পজিটিভ আসলে প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার দিন থেকে নির্বাচনের দিনের ২৪ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রতিদিন প্রচারের সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে সন্ধ্যার পরে ক্যাম্পাস এলাকায় কোনো ধরনের প্রচারকার্যে মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
নির্বাচনী প্রচারণায় ও প্রচারপত্রে কিংবা প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণ, চরিত্র হনন, গুজব, মানহানিকর আচরণ, অশালীন উক্তি ও উস্কানিমূলক কোনো কথা কিংবা কোনো অসত্য তথ্য ছড়ানো যাবে না এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো বক্তব্য ব্যবহার করা যাবে না।
কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে সভা, সমাবেশ বা শোভাযাত্রা করতে চাইলে চিফ রিটার্নিং অফিসার থেকে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে অনুমতি নিতে হবে। একজন প্রার্থী বা একটি প্যানেল প্রতিটি হলে ১টি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি প্রজেকশন মিটিং করতে পারবে।
নির্বাচনী প্রচারণায় শুধুমাত্র সাদা-কালো পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে পোস্টারের আকার অনধিক ৬০ সে.মি. × ৪৫ সে.মি. হতে হবে। কোনো প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ক্ষতিসাধন করা যাবে না।
কোনো প্রার্থী কোনো শিক্ষার্থী, সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা, অনুদান বা আর্থিক লেনদেন করতে পারবে না। নির্বাচনের দিন ভোটারদের কোনোরূপ পানীয় বা খাবার পরিবেশন করা যাবে না।
নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র বা সংগঠনকে লক্ষ্য করে আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রদান, গুজব ছড়ানো বা কোনো ধরনের তিক্ত বা উস্কানিমূলক বা মানহানিকর কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া বা গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা যাবে না।
কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ নির্বাচনের দিন ১০০ মিটারের মধ্যে ভোটার স্লিপ দিতে পারবে না।
কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিল অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার অথবা রাষ্ট্রীয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অন্য যে কোনো দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ইউটি/টিএ