বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ মনোনীত প্যানেল শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম বলেন, আমরা জানতে পেরেছি নির্বাচন কমিশন যে ভোটার তার চেয়েও প্রায় দশ শতাংশ বেশি ব্যালট পেপার ছাপিয়েছে। তারপর আমরা আশঙ্কা জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে জানিয়েছে যদি কেউ ভুল করে তাহলে সেই হলে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, আমরা জানি যে পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো নির্বাচন হয়নি, যেখানে শতভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে। যেখানে শিক্ষিত মানুষের বসবাস। সেখানে ভোট ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু তারা আমাদের কথা দিয়েছিল অতিরিক্ত ব্যালট পেপার নির্বাচন কার্যালয় রাখবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি প্রত্যেকটা হলে হলে প্রত্যেকটা ভোটকেন্দ্রে প্রয়োজনের থেকে বেশি ব্যালট পেপার রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আবু তৌহিদ মো. সিয়াম এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন,গতকাল রাতে আমরা জানতে পারি জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে ওএমআর মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও ব্যালট যেখান থেকে প্রিন্ট করা হয়েছে, সেটিও একটি জামায়াতের প্রতিষ্ঠান। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাই। তারা আমাদেরকে জানান- কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু রাত দেড়টা-২টার দিকে আমরা জানতে পারি ভোট গণনা ওএমআর মেশিনে হবে না। ভোট গণনা ম্যানুয়ালি হবে। একই সঙ্গে রাত ২টার দিকে নির্বাচন কমিশন প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমাদেরকে জানায়- পোলিং এজেন্ট থাকতে পারবেন। তার আগে পর্যন্ত আমরা জানতাম বুথে কোনো পোলিং এজেন্ট থাকতে পারবে না। ভোট হবে লাইভে। কিন্তু রাত ২টার সময় পোলিং এজেন্ট ম্যানেজ করা, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং যারা সাংগঠনিকভাবে দুর্বল তারা কিন্তু এদিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছেন।
আবু তৌহিদ মো. সিয়াম অভিযোগ করে বলেন, আমরা আজকে সকালে বিভিন্ন হলে যখন যাই, তখন গিয়ে দেখি ভোটকেন্দ্রের দরজা ঘেঁষে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি এই লিফলেট বিলির সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের প্যানেলের লোকজন জড়িত। রিটার্নিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার তারা দেখছে। কিন্তু এগুলো তারা কিছু বলছে না। চার ঘণ্টা ভোটের পার হয়েছে। আমরা দেখেছি বিশেষ করে মেয়েদের হলে অনেকেই ভোট দিয়ে এসে আবার লাইনে দাঁড়াচ্ছে। ভোটারদের ম্যানুপুলেট করছেন, লিস্ট মুখস্ত করাচ্ছেন। কিন্তু আমি চারটি হলে রিজেক্ট খেয়ে এসেছি, আমাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানতাম ভোটার তালিকায় ভোটারদের ছবি থাকবে। কিন্তু আজকে গিয়ে আমরা দেখলাম মাস্টার্সের ছবি থাকলেও অনার্স পড়ুয়াদের কোনো ছবি নেই। আমরা দেখলাম শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড দিয়ে ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু সেখানে যে ছবি সেটা পরিবর্তন করা সম্ভব। আবার শুধুমাত্র অনেকেই রেজিস্ট্রেশন নম্বর মুখ দিয়ে বলেই ভোট দিতে পারছেন। এতে যারা অনুপস্থিত এবং যারা ভোট দিতে আসে নাই যে কোনো প্রার্থী সেই সুযোগ নিয়ে ভোট দিতে পারেন।
এমকে/এসএন