এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচে হংকং চায়নাকে ৯৪ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। ফলে রান রেটে অনেকটাই এগিয়ে গেছে আফগানরা। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটের জয়ের পরও বাংলাদেশ পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে। হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস জানিয়েছিলেন তাদের কাছে জয়ই আগে। হয়েছেও তাই।
হংকংয়ের দেয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছে ১৮তম ওভার পর্যন্ত। ম্যাচ শেষে তাওহীদ হৃদয় জানিয়েছেন তাদের লক্ষ্য ছিল দ্রুত হংকংকে অল আউট করে অল্প সময়ের মধ্যে দিয়ে ম্যাচ জিতে নেয়া। যদিও সেটা কার্যত সম্ভব হয়নি হংকংয়ের ব্যাটারদের কারণে।
তারা ২০ ওভারই ব্যাটিং করেছে। এরপর বল হাতেও বাংলাদেশকে সহজে রান তুলতে দেয়নি। ফলে ম্যাচ জিতলেও রান রেট বাড়ানোর সুযোগ পায়নি টাইগাররা। হৃদয় মনে করেন, এমন অবস্থায় থেকেও পরের রাউন্ডে যেতে পারে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে আফগানিস্তান বা শ্রীলঙ্কাকে হারানোর লক্ষ্য টাইগারদের। তাহলে রান রেটের কোনো চিন্তাও থাকবে না।
হৃদয় বলেছেন, 'আমার কাছে ওরকম মনে হয় না। আমরা তো আগেও যেটা বলেছি, মাঠে নামি জেতার জন্য। দেখেন, আমরা যদি আফগানিস্তান বা শ্রীলঙ্কাকে হারাই, তাহলে তো রান রেটের কিছু আসে যায় না। তো আগে থেকে এত জটিল চিন্তা করলে নিজেদের ওপরই চাপ তৈরি হয়। আমাদের যা প্রসেস, আমরা সেটাই অনুসরণ করার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহর ওপর।'
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে দুই ম্যাচে টস জিতেও আগে ব্যাটিংয়ের সাহস দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। এশিয়া কাপেও হংকংয়ের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিং নেয় টাইগাররা। হৃদয় জানিয়েছেন এটা তাদের দলীয় পরিকল্পনা ছিল। মূলত হংকংয়ের বিপক্ষে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি বাংলাদেশ। তারা রান রেটের চেয়ে ফলাফলকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
পরিকল্পনার কথা খোলাসা করে হৃদয় বলেন, 'এটা আমাদের টিম প্ল্যান। আপনারা যেমন রান রেটের কথা বললেন। আপনারাই বলছেন ছোট দল। দিন শেষে প্রতিটি দলই সমান। আমরা যখনই মাঠে নামি। আমাদের লক্ষ্য ছিল যত কমে ওদের অলআউট করে তত তাড়াতাড়ি খেলাটা শেষ করতে পারি। এটা একটা প্ল্যান ছিল। সিরিজে যেটা হয়েছে রান রেটের তেমন বিষয় ছিল না। সিরিজ যেটা শেষ হয়ে গেছে সেটা নিয়ে কথা বলছে চাইছি না। এটা শুধু ক্যাপ্টেন বা কোচের সিদ্ধান্ত না, সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। দিন শেষে ফলটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের মনোযোগ সেদিকেই ছিল।'
এমকে/এসএন