গত ডিসেম্বর মাসে নোভি সাদ শহরের একটি রেলস্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর পর থেকেই সার্বিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্ররা। যেখানে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছিলেন নোভাক জোকোভিচ।
যার কারণে সম্প্রতি সরকারের রোষানলে পড়েছেন এই কিংবদন্তি টেনিস। তাই নীরবে জন্মভূমি ছেড়ে পরিবারকে নিয়ে গ্রিসে গিয়ে বসবাস শুরু করেছেন ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী তারকা।
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্বিয়াতে বাড়তে থাকা রাজনৈতিক চাপ এবং প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুচিচের সরকারের সমর্থকদের কটাক্ষের মুখে জোকোভিচ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অথচ করোনা মহামারীর সময় সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সজান্ডার ভুচিচ জোকোভিচকে ‘সার্বিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ দূত’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কিন্তু এই অবস্থানের জেরেই সরকারপন্থি সংবাদমাধ্যমগুলো তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা শুরু করেছে। অভিযোগ তোলা হচ্ছে, ‘দেশের জন্য কিছুই করেননি।’
এদিকে সার্বিয়ার নিরপেক্ষ কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। পরিবারের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ বিবেচনায় গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে স্থায়ী হওয়ার চিন্তা করছেন জোকোভিচ। এদিকে সরকার জানিয়েছে, তিনি চাইলে দেশ ছাড়তে বাধা দেওয়া হবে না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জোকোভিচ তার ছেলে স্টেফান (১১) এবং মেয়ে তারা (৮)-কে এথেন্সের বিখ্যাত সেন্ট লরেন্স স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। তিনি এথেন্সে একটি বাড়ি কিনেছেন এবং ভবিষ্যতে গ্রিসের ‘গোল্ডেন ভিসা’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতিও নিতে পারেন।
গত বছর আন্দোলনে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে জোকোভিচ লিখেছিলেন, আমি তরুণদের শক্তিতে বিশ্বাস করি। তাদের কণ্ঠস্বরই আমাদের ভবিষ্যৎ গড়বে। তারা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি এবং তাদের প্রতি আমাদের সম্মান জানানো উচিত।
চলতি বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয় আন্দোলনে নিহত এক শিক্ষার্থীকে উৎসর্গ করেছিলেন জোকোভিচ। এবার সেই কাজের মাশুল দিতে হলো এই টেনিস তারকাকে।
ইএ/টিকে