দক্ষিণ চীন সাগর ঘিরে আবারও চীন-ফিলিপিন্স উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অঞ্চলটির স্কারবোরো শোল প্রবাল প্রাচীর ঘিরে প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য তৈরির ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং।
দেশটির এমন পদক্ষেপকে অবৈধ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিপিন্স। পরিবেশ রক্ষার আড়ালে বেইজিং অঞ্চলটির একটি বড় অংশ দখলের পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ ম্যানিলার। তবে ফিলিপিন্সের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে চীন।
দক্ষিণ চীন সাগরের স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জ ও প্রবাল প্রাচীর স্কারবোরো শোল নিয়ে চীন ও ফিলিপিন্সের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি স্কারবোরো শোলে চীনের প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে তা আরও ঘণীভূত হয়েছে।
বুধবার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয় চীনের স্টেট কাউন্সিল। দেশটির এমন পরিকল্পনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিপন্স।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ফিলিপন্সের পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে জানায়, পরিবেশ রক্ষার আড়ালে চীন অঞ্চলটির একটি বড় অংশ দখলের পরিকল্পনা করছে। এটিকে অবৈধ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে ম্যানিলা।
এদিকে ফিলিপিন্সের অভিযোগ ও প্রতিবাদকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। দেশটির ন্যাশনাল ফরেস্ট্রি অ্যান্ড গ্রাসল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, প্রবাল প্রাচীর রক্ষার লক্ষ্যেই দক্ষিণ চীন সাগরে অভয়ারণ্য তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সমুদ্রপথে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি না করতে ম্যানিলার প্রতি আহ্বান জানান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিন বলেন, একাধিক আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে অনেক আগেই ফিলিপিন্স ভূখণ্ডের সীমানা নির্ধারিত হয়েছে, আর হুয়াংইয়ান দ্বীপ কখনোই তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ম্যানিলাকে অবিলম্বে উসকানি ও ভিত্তিহীন প্রচার বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে চীন-ফিলিপন্স বিরোধ নতুন কিছু নয়। তবে এবার অঞ্চলটির প্রবাল প্রাচীর নিয়ে দুদেশের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তজেনা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইএ/টিকে