জাসপ্রিত বুমরাহকে ছক্কা মারা কতটা কঠিন, তা তাকে মোকাবিলা করা ব্যাটার মাত্রই জানেন। সবচেয়ে ভালো বোঝার কথা পাকিস্তানের ব্যাটারদের। মুখোমুখি হয়ে প্রথম ১২ ম্যাচে বুমরাহকে তারা কোনো ছক্কাই হজম করাতে পারেনি। প্রথা ভাঙল সাহিবজাদা ফারহানের ব্যাটে।
ফারহান গতকাল এশিয়া কাপের ম্যাচে প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে বুমরাহকে ছক্কা মেরেছেন। তাও একটি নয়, ২টি। চতুর্থ ওভারে একবার লংঅনে উড়িয়ে মারার পর ষষ্ঠ ওভারে একই অঞ্চলে বল আছড়ে ফেলেন তিনি। ফারহানের ৩ ছক্কার অন্যটি হয় অক্ষর প্যাটেলের ওভারে। যদিও ফারহানের ৪৪ বলের ইনিংসটির চেহারায় দৈন্যদশাই জ্বলজ্বল করছিল। পাকিস্তানি ওপেনার ৯০.৯১ স্ট্রাইকরেটে মাত্র ৪০ রান করেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বুমরাহকে ছক্কা হাঁকানোর হিসাবে ফারহান এখন যৌথভাবে সবার শীর্ষে। বুমরাহকে ফারহানের মতো ২টি করে ছক্কার অভিজ্ঞতা দিয়েছেন মার্টিন গাপটিল, লেন্ডল সিমন্স, কেইরন পোলার্ড, এল্টন চিগম্বুরা ও ক্যামেরন গ্রিন। ৭ উইকেটে হারার ম্যাচে পাকিস্তানের প্রাপ্তি কেবল বুমরাহর বিপক্ষে ফারহানের এই কীর্তিই। বুমরাহ এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩টি ম্যাচ খেলেছেন, গতকালেরটি ছিল ১৪তম। এরমধ্যে একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ায় বুমরাহ বোলিং করেননি। ২০১৩ সাল থেকে দুদলের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ না হওয়ায় সব কটি ম্যাচ আবার সাদা বলের এবং আইসিসি বা এসিসি ইভেন্টের।
২০১৬ সালে অভিষেক হওয়া বুমরাহ সে বছরই পাকিস্তানের বিপক্ষে ২টি টি-২০ খেলেন। পাঁচ টি-টোয়েন্টির মধ্যে দুটি ২০২১ ও ২০২৪ সালে, গতকাল খেলেন পঞ্চমটি। ৮ ওয়ানডের মধ্যে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দুটি দুটি করে খেলেন মোট ৪টি ওয়ানডে। ২০১৯ সালে একটি ও ২০২৩ সালে খেলেন ৩টি ম্যাচ।
ছক্কা হজম না করলেও ১৩ ইনিংসে পাকিস্তানের ব্যাটাররা বুমরাহকে ৪০টি চার মেরেছেন। এরমধ্যে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৬টি চার আজহার আলীর, টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৩ মেরেছেন শোয়েব মালিক।
এবি/টিকে