কুষ্টিয়ায় বাবা-মায়ের কবরে সমাহিত করা হয়েছে ‘লালনসম্রাজ্ঞী’ ফরিদা পারভীন। শিল্পীর দাফন শেষে তাকে নিয়ে সশ্রদ্ধ মন্তব্য করেন কবি ও সমাজচিন্তক ফরহাদ মজহার।
ফরিদা পারভীনকে সমাধিস্থ করার পর ফরহাদ মজহার বলেন, ‘ফরিদা পারভীনকে শুধু শিল্পী বললে অন্যায় হবে। তার অবদানটা শিল্পী হিসেবে নয়, তিনি ফকির লালন শাহকে পরিচিত করেছেন সারা বাংলাদেশে, এই উপমহাদেশে, সারা বিশ্বে।
আগে আমরা একজন ফকির সম্পর্কে জানতাম, তার গান পল্লীগীতি হিসেবে শুনতাম। আব্দুল আলীম পল্লীগীতি হিসেবে তার গানগুলো গাইতেন, আমরাও সেভাবেই শুনতাম। কিন্তু ফরিদা যখন গাইলেন, আমরা প্রথম বুঝলাম, আমরা একজন সাধকের গান শুনছি। বাংলার ভাবজগতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষের চমৎকার গান শুনছি।
এই কাজটা ফরিদা করেছেন, তিনিই প্রথম করেছেন। প্রথম যিনি করেন, তার অবদানটা অসামান্য হয়।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘তার চলে যাওয়ার ক্ষতি পূরণ হবার নয়। ফরিদা পারভীন একটা ধারা তৈরি করে দিয়েছেন। যেই ধারা থেকে আমরা গড়ে উঠেছি। কুষ্টিয়াবাসীর জন্য সত্যিকার অর্থেই আজ দুঃখের দিন। কুষ্টিয়াকে সত্যিকার অর্থেই আমরা সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এটা হবে উপমহাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক নগরী। সেই ভিত্তিটা ফরিদা পারভীন তৈরি করে গেছেন।
প্রসঙ্গত, বরেণ্য লোকসঙ্গীত শিল্পী ফরিদা পারভীন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্বামী এবং চার সন্তান রেখে গেছেন।
ইউটি/টিএ