নেপালে অভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন কারগার থেকে পালানো কয়েদিদের মধ্যে ৩ হাজার ৭ শতাধিককে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে দেশটির পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে ১০ হাজারেরও বেশি কয়েদি।
আজ সোমবার রাজধানী কাঠমান্ডুতে পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ও উপ মহাপরিদর্শক বিনোদ ঘিমির। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের সুযোগে যেসব কয়েদি কারাগার থেকে পালিয়েছিল, তাদের নামের একটি তালিকা করেছে নেপাল পুলিশ। গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩ হাজার ৭২৩ জন কয়েদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এখনও ১০ হাজার ৩২০ জন কয়েদি পলাতক আছে।
ঘিমির জানান, গ্রেপ্তার কয়েদিদের মধ্যে কয়েক জন স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন। এছাড়া কয়েক জন কয়েদি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাদের আটক করে নেপালে ফেরত পাঠিয়েছে।
সরকারের দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্ম (জেন জি) বিক্ষোভ শুরু করেন নেপালে। তাদের মাত্র দু’দিনের বিক্ষোভে ১১ সেপ্টেম্বর পতন ঘটে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সরকারের এবং পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। পরের দিন সাবেক বিচারপতি সুশীলা কার্কি দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হন।
এদিকে বিক্ষোভের সময় দেশজুড়ে চলতে থাকা তীব্র অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে নেপালের বিভিন্ন কারাগার থেকে পলায়ন করেন হাজার হাজার কয়েদি। বিক্ষোভের পর কার্যত খালি হয়ে যায় কারাগারগুলো।
সোমবারের ব্রিফিংয়ে ঘিমির জানান, পলতক এই কয়েদিদের গ্রেপ্তারে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী আর্মড পুলিশ ফোর্সের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের টিম গঠন করা হয়েছে।
সূত্র : ফার্স্টপোস্ট
এসএন