অবশেষে আলোচনায় ফের এলেন লিওনেল মেসি, তবে এবার তার গোলের জন্য নয়। মেসি শিরোনামে এক বিরল রুকি কার্ডের জন্য যা সম্প্রতি রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে ১৫ লাখ মার্কিন ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা)। এটি ফুটবল ইতিহাসের এক টুকরো সংগ্রহ যা সময়ের সঙ্গে আরও মূল্যবান হয়ে উঠেছে।
বিশ্ব ফুটবলের এই কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের প্রথম ট্রেডিং কার্ডটি ২০০৪-০৫ মৌসুমে প্রকাশিত হয় যা ছিল তার বার্সেলোনার হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারের প্রথম। স্পেনের পানিনি মেগা ক্র্যাকস সিরিজে প্রকাশিত এই কার্ডটি ছিল সম্পূর্ণ নিখুঁত অবস্থায়। আন্তর্জাতিক স্পোর্টস গ্রেডিং সংস্থা পিএসএ এটি সর্বোচ্চ জেম-মিন্ট ১০ গ্রেডিং দিয়েছে, যা অত্যন্ত বিরল। এর মাধ্যমে মেসির রুকি কার্ডটি এখন ইতিহাসের সবচেয়ে দামী ফুটবল কার্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
এর আগে পেলের ১৯৫৮ সালের রুকি কার্ডটি ছিল সবচেয়ে দামী যা ১৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছিল। তবে মেসির এই রুকি কার্ডটি তার আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গিয়ে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে।
এই দুর্লভ কার্ডটির বিক্রয় সম্পন্ন করেছে একটি নতুন উচ্চমূল্যের সংগ্রহযোগ্য কার্ড বিপণন নেটওয়ার্ক ফ্যানাটিকস কালেক্ট। পিএসএ’র তথ্য অনুযায়ী, মেসির এই রুকি কার্ডের ৮৩৮টি কপি এখন পর্যন্ত গ্রেড করা হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ২০টি পেয়েছে জেম-মিন্ট ১০ রেটিং -যা এর দুর্লভতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এছাড়া, মেসির এই রুকি কার্ডটি মাইক বেকার অথেনটিকেটেড ডায়মন্ড সার্টিফিকেশন পেয়েছে যা এটি আরও মূল্যবান করে তুলেছে।
রুকি কার্ড হলো একজন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রেডিং কার্ড যা তার পেশাদার খেলার শুরুর মৌসুমে প্রকাশিত হয়। মেসির কার্ডটি ২০০৪ সালে বার্সেলোনার হয়ে অভিষেকের পর প্রকাশিত হয় এবং এটি এখন ফুটবল ইতিহাসের অমূল্য একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একটি রুকি কার্ড শুধুই একটি ছবি নয় বরং এটি সেই খেলোয়াড়ের ইতিহাসের প্রথম পদক্ষেপের দলিল। যখন এটি থাকে নিখুঁত অবস্থায় তখন তা হয়ে ওঠে এক অসাধারণ সংগ্রহযোগ্য সম্পদ, যার মূল্য কেবল সময়ের সঙ্গে বৃদ্ধি পায়।
পিএ/টিএ