ময়মনসিংহের ভালুকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শ্রমিক তোফাজ্জল হোসেন (২২) হত্যা মামলায় দুই শ্রমিক লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার জামিরদিয়া ধানিখোলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভালুকা আঞ্চলিক শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর।
ভালুকা মডেল থানার ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত তোফাজ্জল হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামি জামিরদিয়া ধানিখোলা এলাকায় একটি বাসায় আত্মগোপনে আছে। এমন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালিয়ে ইব্রাহীম খলিল ও জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা তোফাজ্জল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৪ আগস্ট ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি মিছিলে যোগ দেন তোফাজ্জল। সন্ধ্যায় শ্রীপুরের জৈনা বাজার থেকে একটি মিছিল ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে সেটি প্রতিহত করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল ও পরে শ্রীপুরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তোফাজ্জল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ৬ আগস্ট কেন্দুয়ার নিজ বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।
এ ঘটনার ২২৯ দিন পর গত ২১ মার্চ নিহত তোফাজ্জল হোসেনের সহযোদ্ধা শরীফ বাদী হয়ে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ২৪৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
নিহত তোফাজ্জল নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাতি গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগর হাওলা এলাকায় মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে বসবাস করতেন এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। মামলার বাদী শরিফ ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের মাটির মসজিদ এলাকার বাসিন্দা।
পিএ/টিএ