যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিমানবাহিনীর এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে করে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন। এটির ৮ মাইল দূর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল স্পিরিট এয়ারলাইন্সের একটি বিমান।
ওই সময় স্পিরিট এয়ারলাইন্সের বিমানটিকে ২০ ডিগ্রি বাক নিয়ে দূরে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার। তবে প্রথম নির্দেশনায় না সরায় ওই বিমানের পাইলটকে ধমক দিয়েছেন ট্রাফিক কন্ট্রোলার।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) লং আইল্যান্ডের ওপর দিয়ে উড়ছিল ট্রাম্পকে বহনকারী বিমান। এর ৮ মাইল দূরে একই অঞ্চল দিয়ে যাচ্ছিল স্পিরিট এয়ারলাইন্সের বিমান।
ট্রাম্পের বিমানটি যাচ্ছিল যুক্তরাজ্যে। অপরদিকে স্পিরিট এয়ারলাইন্সের বিমানটি ফোর্ট লউডারডেল থেকে বোস্টনের লোগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিল। এটিতে ছিল সাধারণ যাত্রী।
ওই সময় নিউইয়র্ক সেন্টার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার স্পিরিট এয়ারলাইন্সের পাইলটকে রেডিওতে বলেন, “স্পিরিট ১৩০০, ২০ ডিগ্রি ডানে বাঁক নিন।” পাঁচ সেকেন্ড পরও কোনো সাড়া না দেওয়ায় তিনি আবার বলেন, “মনোযোগ দিন, স্পিরিট ১৩০০, ডানদিকে ২০ ডিগ্রি বাঁক নিন।”
এরপরও জবাব না দেওয়ায় ট্রাফিক কন্ট্রোলার পাইলটকে ধমক দিয়ে বলেন, “স্পিরিট ১৩০০, ২০ ডিগ্রি ডানে বাঁক নিন। স্পিরিট উইংস, ১৩০০ এ মুহূর্তে ডানে ২০ ডিগ্রি বাঁক নিন।”
পাইলট চতুর্থবারে গিয়ে বুঝতে পেরে ডান দিকে বাঁক নেন।
এরপর তিনি আবারও পাইলটের সঙ্গে রেডিওতে যোগাযোগ করেন। তখন তিনি বলেন, “স্পিরিট ১৩০০, আপনার বাম ডানার আট মাইল দূরে ট্র্যাফিক (অন্য বিমান) আছে। এটি একটি ৭৪৭ বিমান। আমি নিশ্চিত, আপনি বিমানটি দেখতে পাচ্ছেন। এটির দিকে খেয়াল রাখুন, বিমানটি সাদা ও নীল রঙের।”
এমন নির্দেশনার পর তিনি আবারও পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন এয়ার কন্ট্রোলার অভিযোগ করেন, পাইলট বিমানে বসে আইপ্যাড চালাচ্ছেন। এ কারণে তার নির্দেশরা খেয়াল করতে পারছেন না। তিনি পাইলটকে বলেন, “আপনি একবারে নির্দেশনা শুনতে পান না? আপনার সঙ্গে আমাকে বারবার কথা বলতে হয়। দয়া করে আইপ্যাড চোখের সামনে থেকে সরান।”
স্পিরিট এয়ারলাইন্সের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চায় সংবাদমাধ্যম সিএনএন। জবাবে সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “বোস্টনে যাওয়ার পথে আমাদের পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের নির্দেশনা নিয়ম অনুযায়ী পালন করেছেন। নিরাপত্তাকে আমরা সবসময় প্রাধান্য দিয়ে থাকি।”
সূত্র: সিএনএন
ইএ/টিএ