মধ্যপ্রাচ্যের নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের চলমান হামলার প্রেক্ষাপটে দেশটি এবং সেখানকার কট্টর ডানপন্থি কয়েকজন মন্ত্রীর ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কায়া কালাস বলেছেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের উদ্দেশ্য ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়া নয়। বরং আমাদের লক্ষ্য হলো গাজায় মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো। এই যুদ্ধের অবসান ঘটতেই হবে। এই ভয়াবহ কষ্ট শেষ হওয়া দরকার। সকল বন্দির মুক্তি নিশ্চিত হোক।
যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন পদক্ষেপের কথা বলছে, তবুও ২৭টি সদস্য রাষ্ট্র এই প্রস্তাবে একমত হবে কি-না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অনেকেই মনে করছেন, ইইউ এখনো ইসরায়েলের ওপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগে ব্যর্থ হচ্ছে।
জার্মানির একজন সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকলেও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।
এর আগে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লায়েন ঘোষণা দেন, ইসরায়েলকে অর্থ সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে ইইউর সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিডিয়ন সার মন্তব্য করেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত “অসামঞ্জস্যপূর্ণ” এবং “অভূতপূর্ব”।
এই সময়েই, গাজার সবচেয়ে বড় শহর গাজা সিটিতে ব্যাপক স্থল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবারের ওই হামলায় মাত্র ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজারেরও বেশি। নিহতদের মধ্যে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার শিশু।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমআর