বায়ার্ন মিউনিখ গোল করছিল, আর সেগুলোর রিপ্লে ট্যাবে দেখছিলেন এন্টসো মারেস্কা। চেলসি কোচ যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ইউরোপ সেরার মঞ্চে এমন শিশুতোষ ভুল করছে তার দল! সেগুলোর মাশুল দিয়েই বায়ার্নের বিপক্ষে হেরেছে চেলসি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বুধবার ঘরের মাঠে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে বায়ার্ন।
আত্মঘাতী গোলে শুরুতেই এগিয়ে যায় জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। সফল স্পট কিকে হ্যারি কেইন ব্যবধান দ্বিগুণ করার পর একটি গোল শোধ করেন কোল পালমার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চেলসির বাজে রক্ষণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলের তৃতীয় গোলটি করেন কেইন।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচের ২০তম মিনিটে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ডান দিক থেকে মাইকেল ওলিসের ক্রসে দায়ত উপামেকানোর চাপের মুখে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন চেলসির ট্রেভো শ্যালাবা।
নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার আগেই আরও পিছিয়ে পড়ে চেলসি। ২৭তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হ্যারি কেইন। তাকেই মোইসেস কাইসেদো ফাউল করায় পেনাল্টি দেন রেফারি।
দুই মিনিট পরেই কোল পালমারের নৈপুণ্যে ব্যবধান কমায় চেলসি। মাঝ মাঠ থেকে বল পায়ে এগিয়ে যান ইংলিশ মিডফিল্ডার। ডি বক্সে মালো গিস্তোকে বল বাড়িয়ে জায়গা করে নেন তিনি। কাট ব্যাকে বল ফিরে পেয়ে নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন পালমার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই দলই সুযোগ পায়, কিন্তু দুর্বল শটের জন্য কেউ বিপদ ঘটাতে পারেনি। ৫৭তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পান কেইন। তবে এগিয়ে এসে ইংলিশ স্ট্রাইকারের শট ঠেকিয়ে দিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি গোলরক্ষক রবের্ত সানচেস। তিন মিনিট পর কেইনের কাট ব্যাকে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে ওলিসের শট দারুণ রিফ্লেক্সে ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন তিনি।
চেলসির 'উপহার' কাজে লাগিয়ে ৬৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান কেইন। মাঝমাঠ থেকে ব্যাক পাস দিতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে গড়বড় করে ফেলেন গিস্তো। বল পেয়ে যান অভিজ্ঞ ইংলিশ স্ট্রাইকার। ছুটে গিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় জাল খুঁজে নেন তিনি। একটু আগেই বল পাস দেওয়ায় ঠিক জায়গার ছিলেন না চেলসি গোলরক্ষক।
৮৭তম মিনিটে বায়ার্নের জালে বল পাঠান পালমার। তবে তিনিই অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল। বাকি সময়ে বায়ার্নের রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করলেও ব্যবধান কমাতে পারেনি ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ী চেলসি।
এমআর