ভালো শুরুর পর মাঝের ওভারগুলোতে সুবিধা করতে পারেনি আফগানিস্তান। মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দেড়শ করতে পারবে কি না তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে শেষদিকে রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন মোহাম্মদ নবি। শেষ ওভারে ৫ ছক্কায় ৩২ রান তোলেন তিনি। তাতে বড় সংগ্রহ পেয়েছে আফগানিস্তান।
নবি খেলেছেন ৬০ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস।২৭২.৭২ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ ছক্কা ও ৩ চারে।
অথচ, দলীয় স্কোর ১২০ হওয়া নিয়ে একটা সময় শঙ্কা জেগেছিল। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য এনে দেওয়ার পথে নবীকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন নুর আহমেদ। চায়নাম্যান স্পিনার মাত্র ৬ রান করলেও নবীকে ৫৫ রানে জুটি গড়তে সহায়তা করেছেন তিনি।
এর মধ্যে শেষ দুই ওভারে ৪৯ রান নিয়েছেন দুজনে। ২০তম ওভারে দুনিত ভেল্লালাগেকে ৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন নবী।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে যেভাবে ব্যাটিং ধসে পড়ে আফগানরা এই স্কোরটাও হতো না শেষ দিকে রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী ছোট্ট দুটি ইনিংস না খেললে। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকাতে লঙ্কানদের বোলিংয়ে নেতৃত্ব দেন নুয়ান তুষারা। ‘সিলিঙ্গা’ স্টাইলের পেসারকে জবাব দেওয়া মতো কোনো উপায়ই পাচ্ছিলেন না রহমানউল্লাহ গুরবাজ-সেদিকউল্লাহরা।
তাই তো একে একে দ্রুত ফেরেন ড্রেসিংরুমে।
দলীয় ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে আবুধাবিতে কাঁপতে থাকে আফগানিস্তান। তিনটি উইকেটই নেন মালিঙ্গার মতো বোলিং করা তুষারা। মাঝে চতুর্থ উইকেটে ২৪ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামলে নিচ্ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান ও ডারউইশ রসুলি। তবে ১৬ রানের ব্যবধানে আরো ৩ উইকেট হারিয়ে আবার ব্যাটিং ধসে পড়ে আফগানরা।
দলীয় ৭৯ রানে ৬ উইকেট হারানো আফগানদের তখন ১২০ রান করা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। সেই শঙ্কা দূর করেছেন রশিদ-নবী। ব্যক্তিগত ২৪ রানে অধিনায়ক রশিদ বিদায় নিলে ভেঙে যায় ৩৫ রানের জুটি। শেষ দিকে ৬০ রানের জোড়ো ইনিংস খেলে আফগানদের ১৭০ রানের সংগহ এনে দিয়েছেন নবী। দলের কঠিন সময়ে অভিজ্ঞতার মূল্য বুঝালেন তিনি।
টিএ/