দীপিকা পাডুকোনের কল্কি ২৮৯৮ এডি সিক্যুয়েল থেকে বাদ পড়ার খবর প্রকাশের পর চলচ্চিত্রের ভক্তরা হতবাক। প্রাথমিকভাবে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল, অভিনেত্রীকে সিক্যুয়েল থেকে সরানো হয়েছে “অপেশাদারিত্ব” বা পারিশ্রমিক বৃদ্ধি চাওয়ার কারণে। তবে ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর বলছে, বাস্তবতা ভিন্ন।
প্রথম ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোন সুমতীর চরিত্রে ঝলক দেখিয়েছিলেন। গল্প অনুযায়ী, বিষ্ণুর দশম অবতারকে গর্ভে ধারণ করা এবং পৃথিবীকে বিপদ থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে ছিল। একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে অভিনেত্রী দুঃসাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন, যা দর্শক ও চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
তবে সিক্যুয়েলের চিত্রনাট্য পরিবর্তনের কারণে দীপিকার স্ক্রিন প্রেজেন্স কমিয়ে আনা হয়েছে এবং চরিত্রটি ক্যামিওর পর্যায়ে আনা হয়েছে। এ কারণে দীপিকা নিজেই শুটিংয়ে অংশ না নেওয়াই শ্রেয় মনে করেছেন। প্রযোজকরা জানিয়েছেন, সিক্যুয়েল শুটিংয়ের জন্য দায়বদ্ধতা এবং সময়ের অভাবকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কোনো অপেশাদারিত্বের অভিযোগ সত্য নয়, বরং শিল্পী নিজেই সিক্যুয়েল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
দীপিকার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও সিক্যুয়েল পরিচালকেরা নতুন নায়িকা খুঁজছেন, যাতে ছবির মেগাবাজেট ও প্রযুক্তিগত জটিলতা বজায় থাকে। দীপিকার প্রথম ছবিতে পারফরম্যান্স এবং চরিত্রের গুরুত্বকে ভক্তরা মনে রেখেছেন, তাই সিক্যুয়েলে তাঁর অনুপস্থিতি এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এমকে/এসএন