টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষ করেই বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে তাদের। আইসিসির ভবিষ্যত সূচি অনুযায়ী, বাংলাদেশ সফরে দুই টেস্টের সঙ্গে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলার কথা সফরকারীদের। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার কথা থাকলেও বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে না পাকিস্তান।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগামী আসর। ২০২৭ সালে সাউথ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের ভাবনায় বাংলাদেশ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে না পাকিস্তান। আলোচনার মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। জানা গেছে, প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে নতুন সূচিতে খেলা হবে সিরিজটি।
দুই ম্যাচের টেস্ট এবং তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ২০২৬ সালের ২৩ মার্চ বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান। ২৬ মার্চ শুরু হতে পারে দুই দলের লড়াই। দুই টেস্টের একটি মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও আরেকটি হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিসিবির বিশ্বস্ত একটি সূত্র ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সবগুলোই হবে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তবে ম্যাচগুলো কবে হবে তা এখনো জানা যায়নি। সাউথ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ার উইকেটের বিবেচনায় চট্টগ্রামের ব্যাটিং নির্ভর উইকেটে খেলবে বাংলাদেশ। যার ফলে ব্যাটিংয়ের প্রস্তুতিটা ভালো হবে ক্রিকেটারদের।
পাশাপাশি বোলাররাও এমন উইকেটে চ্যালেঞ্জ নেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবেন। বাংলাদেশের ব্যস্ত সূচির এখানেই শেষ নয়। পাকিস্তান সিরিজ শেষ হতেই ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলার কথা লিটন দাসদের। তবে ওই সিরিজে টি-টোয়েন্টি রাখা হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। এমনকি ওই সিরিজের সূচিও তৈরি করেনি বিসিবি।
এমআর/টিকে