ভবিষ্যতে ভারত যদি কখনও পাকিস্তানে হামলা করে, তাহলে ইসলামাবাদের পাশে থাকবে সৌদি আরব। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ এই দাবি করেছেন। গতকাল শুক্রবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন খাজা আসিফ। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভবিষ্যতে ভারত যদি কখনও পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে হামলা করে তাহলে সম্প্রতি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত মেনে ইসলামাবাদের পাশে রিয়াদ দাঁড়াবে কি না।
জবাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সৌদির সঙ্গে আমাদের স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা চুক্তির ৫ নম্বর ধারায় ‘যৌথ প্রতিরক্ষা’-এর উল্লেখ আছে; এর অর্থ হলো, চুক্তির অংশীদার কোনো দেশের ওপর যদি হামলা হয় তাহলে তা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী সব দেশের ওপর হামলা বলে বিবেচনা করা হবে।”
খাজা আসিফ বলেন, “আমাদের এই চুক্তিটি ন্যাটোর আদলে তৈরি করা হয়েছে; অর্থাৎ এটি প্রতিরক্ষামূলক, আক্রমণাত্মক নয়। কোনো দেশে হামলা বা আগ্রাসন চালানোর কোনো সুযোগ এখানে রাখা হয়নি। তবে যদি সৌদি আরব কিংবা পাকিস্তানের ওপর হামলা হয়, তাহলে আমরা সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করব।”
গত ১৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তির বক্তব্য ও শর্তগুলো এখনও প্রকাশ্যে আসেনি, তবে সৌদির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে এমন একটি বিস্তৃত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি যেখানে সামরিক সংক্রন্ত সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত।”
প্রসঙ্গত, বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র পাকিস্তানের কাছে পরমাণু অস্ত্র আছে। যদিও এটি এশিয়ার সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে একটি; তারপরও ৬ লাখ সেনাসমৃদ্ধ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীগুলোর মধ্যে অন্যতম। অনেক আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক সৌদি-পাকিস্তানের চুক্তিকে সৌদি রিয়ালের সঙ্গে পাকিস্তানি পরমাণু অস্ত্রে ‘বিবাহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
সূত্র : এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড
এসএস/টিএ