সরকার পতনের ১ দফা দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা নয়, ট্রাইব্যুনালে বললেন নাহিদ ইসলাম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জেরায় সরকার পতনের ১ দফার আন্দোলন দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জেরার জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
 
নাহিদ ইসলামকে পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন জেরা করেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে নাহিদ ইসলাম আজ সাক্ষ্য দেন। জেরায় নাহিদ ইসলামকে আইনজীবী প্রশ্ন করেন, দেশি-বিদেশি শক্তির ইন্ধন ছিল বিধায় আপনারা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন?
 
জেরার জবাবে নাহিদ জানান, এটা সত্য নয় যে ৩ আগস্ট সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচি তাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফলশ্রুতি। এও সত্য নয় যে তাদের আন্দোলনের পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তির হাত ছিল। দেশি-বিদেশি শক্তির ইন্ধন ছিল বিধায় তারা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, এ কথাও সত্য নয়।
 
সাক্ষী ও জেরার পর ট্রাইব্যুনাল থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন নাহিদ। এ সময় তিনি বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত, সেই সুযোগও আছে। আমরাও ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাবো।

ট্রাইব্যুনালের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এসেছে। শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদেরকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জনগণ প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছে। ফলে এটা আওয়ামী লীগের সংঘটিত অপরাধ রাজনৈতিকভাবে। তাই দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। 
 
শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলার বাকি দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ তাকেও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফখর আউট ছিলেন না, বললেন ওয়াকার ইউনুস Sep 21, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না : জিল্লুর রহমান Sep 21, 2025
img
বিশ্ব মঞ্চে ভারতের কোনো বড় প্রতিপক্ষ নেই, বললেন মোদি Sep 21, 2025
img

সাফ অ-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট

রিফাতের হ্যাটট্রিকে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা বাংলাদেশ Sep 21, 2025
img
মুজিব ও নূর আহমদকে শাস্তি দিল আইসিসি Sep 21, 2025
img
২৫ বছরের ক্যারিয়ার, ৬০টিরও বেশি সিনেমায় কারিনা কাপুর Sep 21, 2025
img
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : মনির খান Sep 21, 2025
img
মুস্তাফিজের প্রশংসা করলেন ওমর গুল-শোয়েব মালিক! Sep 21, 2025
img
পুরো বাংলাদেশ একটা গভীর সংকটের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে : গোলাম মাওলা রনি Sep 21, 2025
img
বরিশালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনে প্রাণ গেল ৩ জনের Sep 21, 2025
img
আইফোন ১৭ পেয়ে উচ্ছ্বসিত তাসনিয়া ফারিণ! Sep 21, 2025
img
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন ক্যাথেরিন সিছিল Sep 21, 2025
img
রাষ্ট্রদূত হলেন সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা Sep 21, 2025
ইউনাইটেডকে চাপে ফেলে মেসির দুর্দান্ত গোল! Sep 21, 2025
img

এম নাসের রহমান

স্বৈরাচারের পতন ঘটলেও তার লেজ কিন্তু এখনো গুপ্তভাবে নড়াচড়া করে Sep 21, 2025
img
রাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা Sep 21, 2025
img
বিনিয়োগকারীরা আগামী নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন : আমীর খসরু Sep 21, 2025
img
ফখরকে ফিরিয়ে উইকেটের খাতা খুললেন হার্দিক Sep 21, 2025
img
পুলিশের ১০ কর্মকর্তাকে বদলি Sep 21, 2025
img
ব্যানার-পোস্টার অপসারণে অভিযানে নামছে ডিএনসিসি Sep 21, 2025