বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন, ‘এ বছরের দুর্গাপূজাটা একটু স্পর্শকাতর। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক বছর আগে এই দেশে এক স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে। স্বৈরাচারের পতন ঘটলেও তার লেজ কিন্তু এখনো গুপ্তভাবে নড়াচড়া করে।’
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের এম সাইফুর রহমান অডিটরিয়ামে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এক মতবিনিময়সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাসের রহমান বলেন, ‘স্বৈরাচারের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থান করছে। তারা এই দুর্গাপূজা উৎসবে হয়তো নিজেদের মোক্ষম একটা সুযোগ নিতে পারে। এখানে কোনো একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করার অপচেষ্টা করতে পারে। সে জন্য আমাদের সবাইকে দল-মত-নির্বিশেষে কাজ করতে হবে।
যাতে হিন্দু ভাই-বোনেরা তাদের সবচেয়ে বড় মহোৎসব অত্যন্ত সুন্দরভাবে করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘কিছু একটা আগে হয়নি বলে আগামীতেও হবে না, আমার যেন সেই আত্মতুষ্টিতে না ভুগী। আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখতে স্বেচ্ছাসেবক থাকতে হবে।
বিশেষ করে রাতের বেলা। পুলিশ থাকলেও আমরা যদি নিজেরা সচেষ্ট থাকি তাহলে পূজামণ্ডপগুলো নিরাপদ থাকবে। মণ্ডপের আশপাশের জায়গায় সবাই খেয়াল রাখবেন। কোনো জিনিস সন্দেহজনক মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেবেন।’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘আমরা চাই হিন্দু ভাই-বোনেরা এই মহাউৎসবটা পালন করুক।
কিন্তু পলাতক স্বৈরাচারের লেজ যেন নড়াচড়া করতে না পারে সেদিকে পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে। আর আমরা আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যতটুকু সাধ্য আছে তার সবটুকু করার চেষ্টা করব।’
পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ূন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি এড. সুনীল কুমার দাশ, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী, মাওলানা জামিল আহমেদ আনসারি, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, এনসিপির মৌলভীবাজার জেলার প্রধান সমন্বয়ক সাহেদ আলম, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা সভাপতি আশু রঞ্জন দাশসহ প্রমুখ।
এমআর/এসএন