বেসরকারি সংস্থা ইনোভেশন কনসালটিংয়ের ‘পিপলস ইলেকশন পালস সার্ভে, রাউন্ড–২’-এর প্রকাশিত প্রথম প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী- ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন। ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশ ভোটারের।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সম্মেলন কক্ষে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী-৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম। এছাড়া ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ বিশ্বাস করেন তারা নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন। তবে পুলিশ ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে তরুণ ও নগরবাসীর সংশয় বেশি। ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ নাগরিক মনে করেন গত ছয় মাসে চাঁদাবাজি বেড়েছে। এ ধারণা নগর এলাকায় বসবাসকারী তরুণ ও উচ্চশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেশি। তথ্যের প্রধান উৎস হিসেবে তরুণ ও শিক্ষিতদের বড় অংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল।
অনুষ্ঠানে পিআর পদ্ধতি নিয়ে সরকারের কম কথা বলাই ভালো বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, পিআর নাকি বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচন-তার সিদ্ধান্ত নিবে রাজনৈতিক দলগুলো। সরকারের এ বিষয়ে কম কথা বলাই ভালো।
এ সময় তিনি আরও বলেন, জরিপের পরিসংখ্যানই বলছে সরকারের ওপর জনগণের আস্থা আছে। জরিপে ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে চাওয়া মানে সামনের নির্বাচন হবে ইনক্লুসিব নির্বাচন। বাংলাদেশের কারো সাধ্য নাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। সবাই ভোট দিতে আসলে ভোটটা ভালো হতে বাধ্য।
এসএস/এসএন