পুলিশ কর্মকর্তা বা রাষ্ট্রের কর্মকর্তা দায়িত্ব নিয়ে তাদের কাজগুলো করছেন না, ফলে আওয়ামী লীগের মিছিল বেড়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি।
তিনি বলেন, ‘আগে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি একত্রে মিলে এই মিছিল প্রতিহত করত, এখন তাদের মধ্যে সেই ঐক্যও নেই। তাদের মধ্যে অনেকের সঙ্গেই আবার আওয়ামী লীগের যোগাযোগ রয়েছে বলে নানা মহল থেকে নানা রকম কথাবার্তা বলা হচ্ছে। সেই সুযোগে আওয়ামী লীগ ডে বাই ডে তাদের মিছিলের সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে।’
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন গোলাম মাওলা রনি।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভেতরে ও বাইরে যে তৎপরতাগুলো চালাচ্ছে এবং এটা যেভাবে দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে -এটা রীতিমতো ভয়াবহ। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর যে তৎপরতা দরকার, সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণ হলো এই যে ১৫ বছর আওয়ামী লীগের তাঁবেদারি করে মামলা-মোকদ্দমায় পড়ে পুলিশ বুঝে গেছে যে রাজনৈতিক সরকারের কথামতো না চললে সারা জীবন জেলের ঘানি টানতে হবে।
তার চেয়ে বরং যদি কোনো অন্যায় নির্দেশ না মেনে চাকরিটা চলে যায়, ভিক্ষা করে খাওয়া যাবে। রাস্তায় রিকশা চালিয়ে খাওয়া যাবে। এটা অনেক অনেক নিরাপদ।’
গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘কোনো কারণে যদি কোনো কর্তৃপক্ষের হুকুম শুনে, অন্যায় আবদার শুনে, যদি কারো প্রতিহিংসার শিকার হয় এবং পালাবদলের পরে যদি মামলার ঘানি টানতে হয়, তাহলে পুরো পরিবারকে রীতিমতো জাহান্নামের আগুনে ফেলে দেওয়ার মতো একটা অবস্থা হবে।’
রনি বলেন, ‘পুলিশের কর্তৃপক্ষ সরকারকে খুশি করার জন্য ঘোষণা করেছে যে যদি আওয়ামী লীগের মিছিলকারীদের ধরে আনা হয় বা ধরার যায়, তাহলে পার হেড পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এতে কিচ্ছু হবে না, কোনো উপকার হবে না। উল্টো এটা বুমেরাং হবে, টাকা যাবে এবং নিরীহ কিছু লোকজনকে ধরে এনে কর্তৃপক্ষের কাছে দেখাবে যে আজকে মিছিল করেছে ১০০ জন, আমরা এখান থেকে ১০ জন ধরেছি, ৫ হাজার টাকা তারা পুরস্কার নিয়ে গেল।’
পিএ/টিএ