যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পর্তুগালের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও কাতার।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল। ফিলিস্তিনের পাশাপাশি পুরো বিশ্বই পশ্চিমা দেশগুলোর এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে সৌদি আরব জানিয়েছে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি পশ্চিমা দেশগুলোর শান্তি প্রক্রিয়ায় অঙ্গীকারকে আরও সুদৃঢ় করেছে। সৌদি আরব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দেয়া বাকি দেশগুলোকেও একই পথে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথভাবে সৌদি আরব সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দুই-রাষ্ট্র সমাধান নিয়ে এক সম্মেলনের নেতৃত্ব দেবে।
এদিকে কাতার জানিয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোর এ স্বীকৃতি অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে।
যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াও পর্তুগালের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতিকে ‘মাইলস্টোন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ফিলিস্তিনি শীর্ষ নেতারা। ফাতাহের মোহাম্মদ শটাইয়ে বলেন, এটি মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন বড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল।
ফিলিস্তিনের আরও একজন শীর্ষ নেতা বলেন, এটি গাজাবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সূচনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধে আহ্বান জানান তিনি।
তবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির বিষয়ে দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনো গঠিত হবে না। যে দেশগুলো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে তাদের প্রতি নেতানিয়াহু বলেন, সন্ত্রাসবাদকে অনেক বড় পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। যা হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতানিয়াহু।
ইএ/এসএন