নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা স্টেডিয়াম সংলগ্ন লিংক রোডের ময়লার ভাগাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া ৪ হাজার জাতীয় পরিচয়পত্রের রহস্য অবশেষে উন্মোচিত হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলায় স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় ফেরত নেওয়া পুরোনো এনআইডি কার্ডগুলোকে ‘ওয়েস্টিজ পেপার’ বা বাতিল কাগজ হিসেবে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছিল।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শরিফুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে এই বাতিল কার্ডগুলো সংগ্রহ করে মিরপুর-২ এর সালাম পেপার হাউসের মালিক মো. আব্দুস সালাম পুরোনো কাগজের সঙ্গে মিশিয়ে কেনেন।
পরে তার কর্মচারীরা কাগজের বস্তার সঙ্গে এক বস্তা লেমিনেটেড এনআইডি কার্ডও তুলে দেন।
সালাম পেপার হাউসের শ্রমিক মো. বিজয় করিম জানান, তিনি প্রায় ৮ হাজার টাকার ওয়েস্ট পেপার কিনে যাত্রাবাড়ী এলাকায় বিক্রি করতে যান। কিন্তু বস্তার ভেতরে থাকা প্লাস্টিক লেমিনেটেড এনআইডি কার্ডের কোনো ক্রেতা মেলেনি। শেষ পর্যন্ত গত ২১ আগস্ট দুপুরে ফতুল্লা স্টেডিয়াম সংলগ্ন লিংক রোডের ময়লার ভাগাড়ে কার্ডগুলো ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ প্রশাসনের মতে, এ ঘটনায় কোনো অপরাধের উদ্দেশ্য পাওয়া না গেলেও সরকারি নথি এভাবে বেপরোয়া ফেলে দেওয়ায় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এনআইডি কার্ডের মতো সংবেদনশীল নথি ব্যবস্থাপনায় কঠোর নজরদারি থাকা জরুরি।
ফতুল্লা মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, গাজীপুরের নির্বাচনের কমিশনের বাতিল কাগজ যিনি কিনেছিলেন তিনি নারায়ণগঞ্জের। সেই বাতিল কাগজের সঙ্গে এই এনআইডি কার্ডগুলো চলে আসে।
এগুলো তার জন্য অপ্রয়োজনীয় বিধায় সে পরিত্যক্ত অবস্থায় ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেয়। এ বিষয়ে একটি জিডি হয়েছে, সেই সাপেক্ষে আমরা এই পরিত্যক্ত এনআইডি কার্ডগুলোকে পুড়িয়ে ফেলব। তারপরে এ সংক্রান্ত আরেকটি জিডি করব।
পিএ/টিএ