এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের মূলমন্ত্রের নাম ‘বিশ্বাস’। এই মুহূর্ত বলতে আজ সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে ঘিরে বিশ্বাসই ভরসা হয়ে উঠেছে লিটন কুমার দাসদের। চলতি এশিয়া কাপের দলগুলোর চেয়ে শক্তি-সামর্থ্যে আর সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে ভারত। তবে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স এখনই রণে ভঙ্গ দিতে রাজি নন।
শিষ্যদের সুযোগ কাজে লাগানোর বার্তা দিয়ে রেখেছেন তিনি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জয়েরও স্বপ্ন দেখছেন সিমন্স, ‘বিশ্বাস তো রাখতেই হবে (ভারতকে হারানোর)। আমরা বসে নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি। দলের সবার মধ্যে ওই বিশ্বাসটা আছে যে আমাদের সুযোগ আছে।
আমরা যদি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পাই, সেটি যেন হারিয়ে না ফেলি। সুযোগগুলো আমাদের কাজে লাগাতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার সুযোগ আমাদের আছে।’
তবে গত কয়েক বছরে ভারতের পরিসংখ্যান অবশ্য ভয়ই ধরাবে যেকোনো দলকে।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার পর খেলা ২৪ ম্যাচের ২১টিতেই জিতেছে তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সার্বিক পরিসংখ্যানও বড্ড একপেশে, ১৭ ম্যাচ খেলে হেরেছে মাত্র একটিতে। এশিয়া কাপেও দাপুটে ক্রিকেট খেলছে সূর্যকুমার যাদবের দল। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের সবকটিতে জয়ের পর সুপার ফোরে পাকিস্তানও পাত্তা পায়নি ভারতের কাছে।এমন একটি দলের বিপক্ষে জয় আসলে কতটা কঠিন? সিমন্সের উত্তর, ‘প্রতিটা দলেরই ভারতকে হারানোর সামর্থ্য আছে।
ব্যাপারটা নির্দিষ্ট দিনের খেলার ওপর নির্ভর করে। ভারত আগে কী করেছে, সেটা বড় বিষয় নয়। বুধবার (আজ) তারা কী করে, সেটাই দেখার বিষয়। ম্যাচের ওই সাড়ে তিন ঘণ্টার ওপর সব কিছু নির্ভর করবে। আমরা আমাদের সেরা খেলাটা খেলব। পাশাপাশি ভারতকে ভুল করতে বাধ্য করব। এভাবেই আপনি ম্যাচ জিততে পারেন।’ হার-জিতের অনুপাত আকাশ-পাতাল হলেও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ উত্তাপ ছড়ায়। সেই উত্তাপে গা ভাসাতে চাওয়ার কথা জানিয়েছেন সিমন্সও, ‘ভারত যে ম্যাচে সম্পৃক্ত আছে, সেখানে হাইপ থাকবেই। তারা বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি দল। অবশ্যই হাইপ থাকতে হবে। আমরা শুধু সেই হাইপের স্রোতে গা ভাসাতে চাই।’
বাংলাদেশের জন্য অবশ্য কঠিন দুটি দিনই অপেক্ষা করছে। আজ ভারতের পর আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে। এটাকে অন্যায্য বলছেন সিমন্স, ‘টানা দুই দিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা খুবই কঠিন। ওয়ানডের ক্ষেত্রেও একই। এটা আদর্শ না। কিন্তু আমরা প্রস্তুত আছি। ছেলেরা পর পর ম্যাচ খেলার জন্য যথেষ্ট ফিট। তবে কোনো দলের জন্যই এটা ন্যায্য নয়। এটা মানুষের ধারণার চেয়েও কঠিন।’
এবারের আসরে টস বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সুপার ফোরে বাংলাদেশ-ভারত দুই দলই রান তাড়া করে জিতেছে। গ্রুপ পর্বেও বেশি রভাগ ম্যাচে আগে ব্যাটিংই বেছে নিয়েছিল দলগুলো। তবে বাংলাদেশ কোচ সিমন্স উইকেটের আচরণে খুব বেশি পার্থক্য দেখছেন না, ‘আমি ৪০ ওভারের ম্যাচে খুব বেশি পার্থক্য দেখিনি। এখানকার পরিবেশে আমার দেখা সেরা উইকেটে খেলা হচ্ছে। গত ম্যাচেও (ভারত-পাকিস্তান) আমরা তা-ই দেখেছি। সত্যি বলতে উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। এ জন্য বোলারদের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করতে হয়েছে। আমার মনে হয় না এখানে টস বড় কোনো প্রভাব ফেলবে।
এবি/এসএন