হজযাত্রীদের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় সরকার সচেষ্ট : ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হজযাত্রীদের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় সরকার সচেষ্ট আছে। গত বছর প্রায় ২৭ হাজার টাকা বিমানভাড়া কমানো হয়েছিল। এবারও বিমানভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আশকোনায় ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলনকক্ষে ২০২৬ সালে সরকারি মাধ্যমে হজযাত্রী বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘হজের খরচ কমানোর বিষয়ে জনসাধারণের জোরালো দাবি আছে। কিন্তু ইচ্ছা করলেই সরকারের পক্ষে হজের খরচ কমানো সম্ভব নয়। বিশেষ করে সৌদি আরব প্রান্তে সে দেশের সরকার নির্ধারিত খরচ আমরা কমাতে পারি না। আমরা শুধু বিমান ভাড়া ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে কিছুটা দর-কষাকষি করতে পারি। বিমান ভাড়া যৌক্তিকভাবে নিরূপণের লক্ষ্যে আমাদের তৎপরতা আছে।’

তিনি বলেন, ‘হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্য নেই। সরকার হজ নিয়ে কোনো ব্যবসা করে না, বরং সরকারি মাধ্যমে হজ প্যাকেজের অব্যয়িত অর্থ হাজিদের ফেরত দিয়ে থাকে। এ বছর আমরা সরকারি মাধ্যমের হাজিদের ৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি।

ড. খালিদ বলেন, ‘সরকারি মাধ্যমে হজযাত্রী যত বৃদ্ধি পাবে, হজ ব্যবস্থাপনা তত সহজ ও নিরাপদ হবে। এ দেশ থেকে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হজযাত্রী যদি সরকারি মাধ্যমে হজে যান, তাহলে আমরা তাদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে পারব।’

তিনি সরকারি মাধ্যমে হজযাত্রী বৃদ্ধিতে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের আরো তৎপর হওয়ার অনুরোধ জানান।

ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুগ্ম সচিব (হজ) ড. মঞ্জুরুল হক বক্তব্য রাখেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আয়াতুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মু. আ. আউয়াল হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব মো. ইমতিয়াজ আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান উপস্থিত ছিলেন।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দিনব্যাপী এ কর্মশালায় আয়োজক মন্ত্রণালয়, ঢাকা হজ অফিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদর দপ্তর, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় ও ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

পরে উপদেষ্টা ঢাকা কলেজে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভা, পুরস্কার বিতরণ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

কেএন/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর কারাগারে Sep 24, 2025
img
এই পুরস্কার বাবাকে উৎসর্গ করতে চাই : রানি মুখার্জি Sep 24, 2025
img
শেষ মুহূর্তে সাঁতরে নিরাপদে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন জুবিন! Sep 24, 2025
img
ট্রাম্প আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা Sep 24, 2025
img
পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচের আগে সুখবর পেল বার্সেলোনা Sep 24, 2025
img
কাতারের ডেপুটি আমিরের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ Sep 24, 2025
img
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে নেই অধিনায়ক লিটন Sep 24, 2025
img
ফাইনালে দেখা হলে সূর্যর কটাক্ষের জবাব দিতে চান শাহীন আফ্রিদি Sep 24, 2025
img
আ. লীগের নেতাকর্মীরা কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন, জানাল পুলিশ Sep 24, 2025
img
নিরপেক্ষ বিসিবি নির্বাচন চেয়ে রুবেল-মিঠুনদের বার্তা Sep 24, 2025
img
শুধু মেট্রোর আগুন নয়, বহু আগুনের পেছনেই ছিল খুনির ক্ষমতালিপ্সা : ফারুকী Sep 24, 2025
img
পূজা উদযাপনে বিএনপি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে : প্রিন্স Sep 24, 2025
img
‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে ইসি সচিবকে চিঠি এনসিপির Sep 24, 2025
img
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দরকষাকষিতে বাংলাদেশ দুর্বল : প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী Sep 24, 2025
img
রাতে ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা Sep 24, 2025
img
জাতীয় পুরস্কার জেতার পর রাষ্ট্রপতি ভবনে শাহরুখ-রানি-করণ! Sep 24, 2025
img
মতিউরের জামিন নামঞ্জুর, আরেক মামলায় গ্রেপ্তার সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান Sep 24, 2025
img
পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের আগে গণভোট করা যেতে পারে : জাকসু ভিপি জিতু Sep 24, 2025
img
টেলর সুইফটকে সমন দিতে গিয়ে একজন গ্রেফতার Sep 24, 2025
img
হজযাত্রীদের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় সরকার সচেষ্ট : ধর্ম উপদেষ্টা Sep 24, 2025