ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। বর্তমানে নাটকের গণ্ডি পেরিয়ে সিনেমা-ওটিটি নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটছে তার। একের পর এক ভিন্নধর্মী গল্প আর চরিত্রে পর্দায় নিজেকে মেলে ধরছেন তিনি।
গত দুবছর সিনেমায় নজর দিয়েছেন। দ্বিতীয় সিনেমা নিয়ে পর্দায় হাজিরও হয়ে গেছেন এরইমধ্যে। কিন্তু নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমা দেশের দর্শককে দেখাতে পারেননি এতদিন। এবার সে সুযোগ এসেছে মেহজাবীন চৌধুরীর।
আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘সাবা’। বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি একাধিকবার প্রদর্শিত হয়েছে। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা হলেও মুক্তির দিক থেকে ‘সাবা’ এখন দ্বিতীয়।
মেহজাবীন জানিয়েছেন, আপাতত সীমিত আকারে এটি মুক্তি পাচ্ছে। আজ থেকে দর্শক রাজধানীর ব্লকবাস্টার সিনেমাস, স্টার সিনেপ্লেক্স ও নারায়ণগঞ্জের একটি প্রেক্ষাগৃহে ‘সাবা’ দেখা যাবে। দর্শকের সাড়া ভালো পেলে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
কী কারণে ‘সাবা’ দেখবেন দর্শক, এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, এটি শুধু মা ও মেয়ের গল্প নয়। ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা তাদের জীবন বদলে দেয়। সেই থেকে মা সীমাবদ্ধতায় বাঁধা, আর সাবা বড় হয়ে ওঠে এক জটিল চরিত্রে। নিজের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়, কিন্তু একইসঙ্গে মায়ের অবনতিশীল স্বাস্থ্য আর তাকে হারানোর ভয় তাকে দ্বিধায় ফেলে। সাবা ভালোবাসা, দায়িত্ব, ত্যাগ আর ছাড়তে না চাওয়ার সংগ্রামের গল্প। তাই আমি বিশ্বাস করি সাবা দর্শকের হৃদয়ে এক অদ্ভুত রকমের ভাবনা তৈরি করবে। তাই সুন্দর এ গল্পের সিনেমাটি দেখার জন্য দর্শকের প্রতি আহ্বান রইল।
মেহজাবীন আরও বলেন, আমার কাছে আসল বিষয় হলো, আমি কোনো ধরনের সিনেমা বেছে নিচ্ছি, কী ধরনের চরিত্রে কাজ করছি, আর সেগুলো সমাজে কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে কি না। কারণ একজন শিল্পী ও অভিনেত্রী হিসাবে দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি, সমাজের প্রতি আমারও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। তাই সিনেমায় অভিনয় করার আগে আমাকেও অনেক কিছু ভাবতে হয়। সেই ভাবনা থেকেই প্রিয় মালতী কিংবা সাবাতে অভিনয় করা।
পিএ/এসএন