খেলা দেখে মনে হয়েছে কেউই ফাইনালে যেতে চায় না: কামরান আকমল

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসে বল হাতে দূর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানোর পরেও, ব্যাটাররা টপকাতে পারেনি ১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্য। ম্যাচে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে দলের মিডল অর্ডারের দুর্বলতা। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের সমালোচনা করলেন পাকিস্তানের সাবেক দুই ক্রিকেটার কামরান আকমল এবং বাসিত আলী।

ম্যাচে ব্যাটিংয়ে খাবি খায় পাকিস্তানের ব্যাটাররাও। পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক কামরানের মতে, ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হতে হবে দেখেই নাকি ঘাবড়ে গেছেন দুই দলের ব্যাটাররা।

নিজের ইউটিউভ চ্যানেলে কামরান বলেন, 'আপনাদের ভাবা উচিত ছিল এখানে স্ট্রাইক রোটেট করতে হবে, জোর করে ঝুঁকি নেয়া যাবে না, বড় হিট মারতে যাওয়া যাবে না। আমার মনে হচ্ছিল যেন ফাইনাল খেলার মনই ছিল না কারো। ভারতীয় দলের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে হবে তাই বলে এতো চাপ!'

'দুই দলের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ব্যাটিং করছিল, মনে হচ্ছিল দুই দলই ঘাবড়ে গেছে। সাইফ তাদের প্রধান খেলোয়াড় ছিল, ১৮ রানে পয়েন্টে আউট হলো। এরপর কোনো পার্টনারশিপই হয়নি। শামীম ৩০ রান করেছে, সে-ও রিভার্স সুইপ মারতে গিয়েছিল, তাও আবার ফাস্ট বোলারকে। এমনই অবস্থা, ওদের ব্যাটিং করার মনই ছিল না।'

কামরানের সুরে সুর মিলিয়েছেন আরেক সাবেক ব্যাটার বাসিত। নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে বাংলাদেশের প্লেয়ারদের শট সিলেকশন নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি।

বাসিত বলেন, 'খারাপ ক্রিকেট খেলল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। জানে যে লিটন দাস খেলছে না, শট মারতে যাচ্ছিল। পাওয়ার প্লে-তে চাইছিল ৫০ রান করতে। ছক্কা মারতে চাইছিল। বাজে শট সিলেকশন। দুই দলের তরফেই ব্যাটিং খুব খারাপ হয়েছে।'

যদিও ব্যাটারদের সমালোচনায় ভাসালেও, বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের প্রশংসা করতে ভুল করেননি তিনি। একইসাথে ম্যাচে বেশ কয়েকটি ক্যাচ ছেড়ে দেয়া টাইগার ফিল্ডারদের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।

বাসিত বলেন, 'টপ ক্লাস বোলিং করল তাসকিন। তিনটি আউট করল। রিশাদ খুব ভালো বোলিং করেছে। ও খুব ভালো উইকেট নিয়েছে। ফখর জামানকে যেভাবে আউট করল সেটা দারুণ। ১৩৫ রান বানাতে যতটা ক্রেডিট হারিসের, নওয়াজের, ফাহিম আশরাফের, শাহিন শাহ আফ্রিদির, তার থেকেও বেশি ক্রেডিট যায় বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের।'

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিদায়ের পরও থামছে না টাইগারদের ব্যস্ততা Sep 26, 2025
img
২৫০ টাকা পারিশ্রমিক থেকে এখন বলিউডের ব্যস্ত তারকা যীশু! Sep 26, 2025
img
হিন্দু সম্প্রদায়কে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানালেন জামায়াত আমির Sep 26, 2025
img
ভারতের সাথে বাংলাদেশের মতো ভেবে খেলতে বললেন শোয়েব Sep 26, 2025
img
বিচার, সংস্কার ও ভোট বাধাগ্রস্ত হলে ফ্যাসিস্টরা আবারও সুবিধা নেবে : সাকী Sep 26, 2025
img
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা Sep 26, 2025
img
৮ বছর ধরে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে ভারতে ২৫ ‘বাংলাদেশি’ গ্রেপ্তার Sep 26, 2025
img
নির্বাচনে কোনো বিশেষ দলকে জিতিয়ে দিতে চাইলে জনগণ তা কোনোভাবেই ছেড়ে দেবে না: রুহুল কবির রিজভী Sep 26, 2025
img
ট্রাম্পের চাপে জাতিসংঘে প্রতিবাদী ভাষণ দেবেন নেতানিয়াহু Sep 26, 2025
img
দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি Sep 26, 2025
সূর্যসেন হলে যেভাবে চালু হলো শিবিরের দেওয়া ফ্রিজ Sep 26, 2025
‘বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে শ্রম সংস্কারের গুরুত্ব অপরিসীম’ Sep 26, 2025
img
হবিগঞ্জে ধানের চারা তোলা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০ Sep 26, 2025
img
ফাইনাল জিততে পাকিস্তানকে পরামর্শ দিলেন শোয়েব Sep 26, 2025
img
টিকটক চুক্তির বৈধতা দিয়ে নির্বাহী আদেশে সই ডোনাল্ড ট্রাম্পের Sep 26, 2025
img
আগামী নির্বাচন অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতেই হতে হবে : মাহবুব জুবায়ের Sep 26, 2025
img
আপনার বোন দিল্লিতে বসে আছে, তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠান: আসাদউদ্দিন ওয়াইসি Sep 26, 2025
img
পিআর-শাপলা ছাড়া নির্বাচন হবে না, এমন বক্তব্য বিপজ্জনক : সাকি Sep 26, 2025
img
লাদাখ আন্দোলনে উসকানির অভিযোগে সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার Sep 26, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২১৯ জন Sep 26, 2025