বাংলাদেশি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রিভিউ, রানআউটও বাতিল

এশিয়া কাপের সপ্তদশ আসর প্রায় শেষের পথে। ফাইনালের আগে ভারত-শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি ছিল কেবলই নিয়মরক্ষার তাগিদে। কারণ এই ম্যাচের ফলাফল ‍টুর্নামেন্টটিতে কোনো প্রভাব রাখবে না। এমন ম্যাচেও ঘটেছে নাটকীয় ঘটনা, আউট বাতিল হয়ে ডেড বল এবং রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে সুপার ওভারে জিতেছে ভারত। এর মধ্যে বাংলাদেশি আম্পায়ার গাজি সোহেলের দেওয়া আউট বাতিলের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে।

গতকাল (শুক্রবার) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২০২ রানে ভারত-শ্রীলঙ্কা সমতা টানার পর খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। যেখানে ৪ বল খেলে মাত্র ২ রানেই ২ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ফলে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় স্রেফ ৩ রানের। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার করা প্রথম ডেলিভারিটি ছিল গুগলি। যেখানে কভার ড্রাইভ খেলে অধিনায়ক সূর্যকুমার শুভমান গিলকে সঙ্গে নিয়ে দৌড়ে ৩ রান আদায় করেন।



সুপার ওভারেই ঘটে আউট বাতিলের সেই নাটকীয় ঘটনা। ভারতের হয়ে তখন বোলিং আক্রমণে ছিলেন আর্শদীপ সিং। স্ট্রাইকে থাকা দাসুন শানাকার উদ্দেশে অফ স্টাম্পের বাইরে ইয়র্কার লেংথে বল করেন তিনি। যা শানাকার ব্যাটের পাশ ঘেষে উইকেটরক্ষক সঞ্জু স্যামসনের হাতে চলে যায়। আর্শদীপসহ ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাতে ক্যাচ আউটের আবেদন করলে আউট দেন বাংলাদেশি আম্পায়ার গাজী সোহেল। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ’র আবেদন করেন শানাকা।



পরে ভিডিও রিপ্লে’র আলট্রা এজে দেখা যায়, বলটি শানাকার ব্যাটে লাগেনি। ফলে সিদ্ধান্ত বদলে নটআউট দেন টিভি আম্পায়ার। এরপরই ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবসহ বাকিরা রানআউটের আবেদন নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে যান। কারণ আম্পায়ার কট বিহাইন্ডের সিদ্ধান্ত জানালেও দৌড়ে রান নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন শানাকা। তিনি ক্রিজের বাইরে থাকতেই স্যামসন বল ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন। তার আগেই রিভিউ নিয়ে ফেলায় মূলত সেই রানআউটও বাতিল হয়েছে। এরপর কোনো রান হলেও তা যোগ হতো না।

যদিও ওই সময়ে অনেকেই ভেবেছিলেন শানাকা অন্তত রানআউট হবেন। অথচ সেই সুযোগ নেই আইসিসির আইনে। ডেড বল সংক্রান্ত ২০.১.১.৩ ধারায় বলা হয়েছে, আম্পায়ার আউট ঘোষণা করলেই বল সঙ্গে সঙ্গে ডেড হয়ে যায়। পরে সিদ্ধান্ত পাল্টে গেলেও সেই ডেড বলের অবস্থা বদলায় না। মানে এরপর যা কিছু (আউট কিংবা রান) ঘটে, তার কোনো গুরুত্ব নেই। তাই রানআউট হওয়া সত্ত্বেও বেঁচে যান শানাকা।

এসএস/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শোয়েব ভাই তুমি আমার চেয়েও বড় কুফা : শামীম Sep 27, 2025
img
রাশিয়া ও বেলারুশের বিরুদ্ধে আইপিসির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার Sep 27, 2025
img
ব্রিটিশ রাজনীতিক ও বিশেষজ্ঞদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল রাশিয়া Sep 27, 2025
img
একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫১৪ জন Sep 27, 2025
img
টানা ৫ দিন বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির আভাস Sep 27, 2025
img
এই মুহূর্তে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দেয়ার ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের Sep 27, 2025
img
ক্ষমতায় গেলে যদি ভারত দেশে ঢুকে পড়ে, তাহলে আমরা হবো খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা: মোহাম্মদ তাহের Sep 27, 2025
img

সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল

ভারতের বিপক্ষে সন্ধ্যায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ Sep 27, 2025
img
খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি Sep 27, 2025
img
হামজাদের হংকং মিশনে ২৮ জনের মধ্যে নেই কিউবা মিচেল! Sep 27, 2025
img
ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে ফিফা ও উয়েফার কাছে চিঠি দিয়েছে তুরস্ক Sep 27, 2025
img
আর কখনও পচা নির্বাচন করব না: ইসি সানাউল্লাহ Sep 27, 2025
img

বিসিবি নির্বাচন

পরিচালক পদের জন্য মনোনয়নপত্র কিনলেন তামিম ইকবাল Sep 27, 2025
img
দেশে ফের ভূমিকম্প! Sep 27, 2025
img
‘থামা’তে নোরা ফাতেহির ঝলমলে অভিষেক Sep 27, 2025
img
নির্বাচকের চাকরি ছেড়ে বিসিবি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র কিনলেন আবদুর রাজ্জাক Sep 27, 2025
img
নির্বাচনে লড়বেন নেপালের জেন-জি নেতা সুদান গুরুং Sep 27, 2025
‘তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই’ Sep 27, 2025
জাতিসংঘের ভাষণে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জোর দাবী জানালেন ড.ইউনূস Sep 27, 2025
‘অল্প সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পিছনে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছে’ Sep 27, 2025