চলতি মাসের মাঝামাঝিতে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিক সামরিক চুক্তি হয়। এতে বলা হয় দুই দেশের যে কোনো একটির ওপর হামলাকে উভয়ের ওপর হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তিধর পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদির চুক্তি হওয়ার পর ধারণা তৈরি হয় সৌদিকে পারমাণবিক অস্ত্র দেবে পাকিস্তান।
তবে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, সামরিক চুক্তি অনুযায়ী সৌদির কাছে তারা কোনো পারমাণবিক অস্ত্র বিক্রি করছেন না।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সৌদির রাজধানী রিয়াদে দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এ ঐতিহাসিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
সাংবাদিক মেহেদি হাসান ‘জিতিও’ অনুষ্ঠানে খাজা আসিফকে প্রশ্ন করেন কাতারে ইসরায়েলের হামলার প্রেক্ষিতে এ চুক্তি হয়েছে কি না?
জবাবে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এই চুক্তি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই আলোচনা চলছিল।
তাকে এরপর প্রশ্ন করা হয় পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের দ্বারা এখন সৌদি আরব সুরক্ষিত কি না। জবাবে তিনি বলেন, “সৌদির সঙ্গে আমাদের অনেক পুরোনো সামরিক সম্পর্ক রয়েছে।
পাঁচ-ছয় দশক হবে। সৌদিতে আমাদের সামরিক উপস্থিতি ছিল। একটা সময় আমাদের পাঁচ ছয় হাজার সেনা সেখানে ছিল। এখানে আমাদের সৌদিতে সামরিক উপস্থিতি রয়েছে।”
পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপারে তখন তাকে আবারও প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মেহেদি হাসান। এর জবাবে খাজা আসিফ বলেন, “আমি বিস্তারিততে যাব না। এটি একটি সামরিক চুক্তি। আর এ ধরনের চুক্তির বিষয় সাধারণত প্রকাশ্যে আলোচনা হয় না।”
সূত্র: জিও টিভি
এমকে/টিকে