দুই ওপেনারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিলে পাকিস্তান। বিশেষ করে ফারহানের ঝোড়ো ফিফটিতে শক্ত ভিত পেয়েছিল তারা। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটাররা একেকজন যেন রীতিমতো আত্মহত্যা করলেন! সালমান আলি-মোহাম্মদ হারিসদের ব্যর্থতায় দেড়শর আগেই অলআউট পাকিস্তান।
দুবাইতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার এক বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করেছে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন ফারহান।
ফাইনালের চাপ সামলে পাকিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। বিশেষ করে ফারহান দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ভারতের সঙ্গে সর্বশেষ দেখায়ও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন। আজও শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন।
নতুন বলে জাসপ্রিত বুমরাহ কিংবা মাঝের ওভারে কুলদিপ যাদবের মতো চায়নাম্যান, সবাইকেই স্বাছন্দ্যে খেলেছেন ফারহান। বড় ম্যাচে এসে ফিফটির দেখা পেয়েছেন এই ওপেনার। ৩৫ বলে মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে ৩৮ বলে ৫৭ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
ফারহান ফিরলে ভাঙে ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর সায়িম আইয়ুবকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ফখর। তবে ১১ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
এরপরই যেন ধস নামে পাকিস্তানের ইনিংসে। মোহাম্মদ হারিস-সালমান আলি আগারা দাঁড়াতেই পারেননি। বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝেও ফখর জামান এক প্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করেছেন। তবে ৩৫ বলে ৪৬ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
ফখর ফিরলে আর বেশিক্ষণ টিকেনি পাকিস্তানের ইনিংস। শেষ ২০ রান যোগ করতে তারা হারিয়েছে ৭ উইকেট। প্রথম তিন ব্যাটার ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
এমআর/এসএন